অনলাইন ডেস্কঃ
ঈদে বাড়ি যেতে সড়ক, রেল ও নৌপথে ভ্রমণে পোহাতে হয় নানা বিড়ম্বনা ও ভোগান্তি। তাই আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য উচ্চ মধ্যবিত্ত ও বিত্তবানরা ছুটছেন বিমানের টিকিটের জন্য। তবে চাহিদার তুলনায় আসন কম থাকায় নিয়মিত ফ্লাইটের ৯০ ভাগ টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে রোজার শুরুতেই। এ অবস্থায় টিকিট মিললেও প্রতিটি রুটে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি দাম দিতে হচ্ছে ভ্রমণ প্রত্যাশীদের।
টিকেট নিতা আসা একজন জানানা, সাধারণত এই টিকেটের দাম ২৫০০ টাকা। ওই টিকেটগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়াও যে ভাড়াটা অন্য সময়ে ৮০০০ টাকা ছিল, সেটা এখন ১২০০০ টাকা। এই জিনিসগুলো আমাদের জন্য সহনীয় নয়। বাংলাদেশে এয়ারলাইন্স গুলো সেবা দিচ্ছেন, না ব্যবসায় করছেন।
ট্যুর অপারেটরদের অভিযোগ, বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির জন্য, এয়ারলাইসেন্সগুলো ঈদের আগে ও ছুটির পরের কয়েক দিনের অধিকাংশ আসন ব্লক করে রাখায় এই সংকট।
দি সিটি হলিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দাশ বলেন, ঈদের সময়ে সব এয়ারলাইসেন্সগুলো একই নিয়মে চলে। তারা ব্লক আউট ডেট দিয়ে রাখে। ঈদের আগের তিনদিন, ঈদের পরের তিন দিন।
এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের দাবি, বাড়তি চাহিদা ও ফিরতি ফ্লাইটে আসন খালি থাকায় খরচ উঠাতে দাম বেশি রাখা হয়। তবে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে অতিরিক্ত ফ্লাইট দিচ্ছে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শাকিল মেরাজ বলেন, ঈদের টিকেটগুলো আমাদের অনেক আগেই শেষ হওয়ার পথে, যেকারণে চাহিদা বেশি থাকার কারণে দাম একটু বেশি দিতে হবে। এদিকে বাড়তি চাপ মোকাবেলায় করার জন্য চারটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু করেছি।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বলেন, ঈদ করতে অনেক মানুষ বাড়ী যায়। কিন্তু ফিরতে ফ্লাইটে যাত্রী থাকেনা। সেক্ষেতে ফ্লাইট ওয়ানওয়ে হয়ে যায়, এই কারণে দাম বেড়েছে।
অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে বর্তমানে চারটি এয়ারলাইন্স গড়ে প্রতিদিন সাত হাজার যাত্রী পরিবহন করে। ঈদের সময় তা বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ।