এ বিষয়ে শনিবার রাতে রাফি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুকে দুটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আজ অফিস থেকে ফেরার পথে মোহাম্মদপুর কলেজগেট সিগন্যালে ঠিক আমার সামনের গাড়িটাতে লক্ষ্য করে দেখি ভেতরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ধস্তাধস্তি করছে। এবং ড্রাইভারের গাড়ি চালানোর ভঙ্গিমা দেখে মনে হচ্ছিল যে, সে গাড়িটা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে, দুর্ভাগ্য তাদের, রাস্তায় তীব্র জ্যাম থাকায় গাড়িটি বেশি দূর যেতে পারেনি। এমতাবস্থায় আমি আমার গাড়ি থেকে নেমে সামনে যেতে যেতে দেখি আরও কিছু লোক গাড়িটির দিকে লক্ষ্য করে এগুচ্ছে। তখনও ভাবতে পারিনি এতটা নিচ ও নিকৃষ্ট ঘটনার চাক্ষুষ প্রমাণ হতে যাচ্ছি।
আমি গাড়িটির কাছে যেতেই দেখি ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। গাড়ির দরজা খুলে প্রথমে আমরা মেয়েটিকে বাইরে বের করে নিয়ে আসি পরে অপর পাশের দরজা খুলতেই দেখি অতিপরিচিত সেই ছেলেটি অর্থাৎ বড়লোক বাবার বখে যাওয়া নষ্ট সন্তান। ছেলেটিকে বাইরে বের করতে গিয়ে সহ্য করতে হয়েছে বাজে মদের গন্ধ। আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না, অতঃপর বসিয়ে দিলাম ওই জানোয়ারের কানের নিচে আমার বাম হাতের পাঁচ আঙ্গুলের চিহ্ন। এরপর ক্ষুব্ধ জনতা চিলের মতো করে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বাকি দায়িত্ব পালন করলো।
পরে মেয়েটির কাছ থেকে জানতে পারলাম, ওই নরপিচাশটা মেয়েটিকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে এসেছে।’
প্রসঙ্গত, রাফি আহমেদের আপলোড করা ওই ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, অভিযুক্ত যুবক ও তার গাড়ির চালককে আটকের পর জনতা বিবস্ত্র করে মারধর করছে। এবং সেখানে মারধরের শিকার গাড়ির চালক এক পর্যায়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে রাফি সময় নিউজকে বলেন, ‘ওই ঘটনার সময় পাশেই পুলিশের গাড়ি ছিল। আমরা ওই যুবককে পরবর্তীতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।’
শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক মিনহাজুল ইসলাম তাদের আটক করেন বলে থানা থেকে সময় নিউজকে জানিয়েছেন ডিউটি অফিসার জলিল। তবে, মিনহাজুলকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সাদা রঙের যে গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো গ ২৯৫৪১৪) থেকে ওই দুই যুবককে ধরা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটির মালিক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বাহার নামের এক ব্যক্তি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, তার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গাড়ির মালিক বাহাউদ্দিন সাভার উপজেলার ভাকুতাবাজার এলাকার বাসিন্দা বলে গাড়ির নিবন্ধনে উল্লেখ করা হয়েছে।