অনলাইন ডেস্কঃ- ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘জিপিএ-৫’ বিক্রির অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) মো. মাহমুদ-উল-হককে প্রধান করে চার সদস্যের এই কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ইউনুস আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (নিরীক্ষা ও আইন) আহমদ শামীম আল রাজী এবং সরকারি মাধ্যমিক শাখার উপ-সচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুরেই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জিপিএ ফাইভ বিক্রির অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এইচএসসি পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে জিপিএ ফাইভ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এর আগে গত রোববার একই ঘটনায় তিন সদস্যের পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এ তথ্য জানান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।
বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এইচএসসি পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে ‘জিপিএ ফাইভ’ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) অদ্বৈত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বোর্ড চেয়ারম্যান আরও জানান, তিন সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েন আওতাধীন ‘পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর’ (ডিআইএ) এর পরিচালক অধ্যাপক আহাম্মেদ রশীদ সাজ্জাদকে। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন- ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ এবং বুয়েটের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ইউনূস মিয়া। ঈদের আগেই তদন্ত সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।