বাংলার প্রতিদিনঃ
রাজধানীর বনানীতে বহুল আলোচিত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক মুন্সি হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত নূর আমিন ওরফে নূরাকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী ডিবি উত্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. গোলাম সাকলায়েন বলেন, গ্রেপ্তার নূর আমিন ওরফে নূরা দীর্ঘদিন ধরে বাড্ডা, গুলশান, রামপুরা, এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আরিফ, নূরী, শরীফ, পিচ্চি আলামিনের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
তিনি জানান, সিদ্দিক মুন্সি হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীদের চারজনের ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অংশগ্রহণকারী মোট সাতজন ছিলেন বলে পরে জানা যায়। এদের মধ্যে নূরী, শরীফ, সাদ্দাম ও আরিফ রুমের ভেতরে ঢুকে গুলি করেন এবং রুমের গেইটে পিচ্চি আলামিন এবং নূরা অবস্থান করেন। কিলিং মিশনে নূরার দায়িত্ব ছিল ভেতর থেকে সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পর বিল্ডিংয়ের গেইটে তালা লাগিয়ে দেওয়া।
সিদ্দিক মুন্সি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বাকি দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের নির্দেশনায় ও এডিসি মো. শাহজাহানের তত্ত্বাবধানে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য নূরাকে সকালে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে বনানীর ৪ নম্বর রোডের বি-ব্লকের ১১৩ নম্বর বাড়ির এমএস মুন্সি ওভারসিজ নামের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে বানানী থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।