বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮
  • ২৪২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ- 

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কৃষি খাতকে গতিশীল করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। এর ফলে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের কৃষি বান্ধব নীতি গ্রহণ এবং তা যথাযথ বাস্তবায়নের ফলেই বর্তমান সরকারের সময়ে কৃষি উৎপাদনে অসামান্য সফলতা অর্জিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া এই অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন ন্যাপের মিসেস আমিনা আহমেদ। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, চাল, গম, ভুট্টাসহ সকল প্রকার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কৃষি উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েছে। এর ফলে কৃষি উন্নয়নে ধারাবাহিক সফলতাও পাওয়া যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারা দেশে মোট আবাদযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৬ হেক্টর। মোট সেচকৃত জমির পরিমাণ ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০০ হেক্টর। অর্থাৎ সেচের আওতার বাইরে কৃষি জমিসমূহ সেচের আওতায় আনার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাবার ড্যাম, ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন, সেচ যন্ত্রপাতি সহজলভ্যকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে সেচের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ নিশ্চিত করার জন্য কৃষক পরিবারকে ২ কোটি ৫ লাখ ৪৪ হাজার ২০৮টি কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে কৃষকের মাঝে ১ কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৭টি ও কৃষাণীর মাঝে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৪১টি কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয় এবং সরকারের বিশেষ সুবিধায় কৃষি উপকরণ কার্ডের মাধ্যমে খোলা সচল ১০ টাকার ব্যাংক একাউন্টের সংখ্যা ৯২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯০টি। যার মাধ্যমে কৃষকগণ ফসল উৎপাদনের ঋণ এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা পেয়ে থাকেন।

সরকারি দলের সদস্য বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ কৃষক পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ই-কৃষি চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রযুক্তি সমূহের তথ্য কৃষক পর্যায়ে সহজলভ্য করার জন্য মোবাইল অ্যাপস কৃষি প্রযুক্তি ভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্বন্ধে কৃষকরা সহজে জানতে পারেন এবং ভোক্তাদের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451