স্পোর্টস ডেস্কঃ-
হতে হতে হল না ইন্দ্রপতন। পিছিয়ে পড়েও রয়েসের গোলে সমতা। এরপর শেষ সময়ে টনি ক্রুসের গোলে সুইডেনের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতে টুর্নামেন্টে টিকে থাকল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।
জার্মানিকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততেই হবে। ওদিকে আগে থেকে ছয় পয়েন্ট মেক্সিকোর। তাদের বিপক্ষে সুইডেন জিতলে তাদেরও হবে ৬ পয়েন্ট। আর জার্মানি কোরিয়াকে হারালে হবে ছয় পয়েন্ট। সেক্ষেত্রে গোল ব্যবধানের হিসাব চলে আসবে।
জার্মানি এদিন ৮৩ মিনিটের পর থেকে ১০ জন নিয়ে খেলে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতে হয় জেরোম বোয়াটেংকে।
রেফারি অতিরিক্ত হিসেবে সাত মিনিট সময় বরাদ্দ করেন। জার্মানি দ্বিতীয় গোলটি পায় তার পঞ্চম মিনিটে। বক্সের ঠিক বাঁদিকে ফ্রি-কিক পায় দলটি। রয়েস বড় শট না নিয়ে টোকা দিয়ে বল দেন ক্রুসকে। একদম পরিকল্পিত। ক্রুস এমন পজিশনে দাঁড়ান যেখান থেকে গোলে শট নিলে মানবদেয়ালে লাগবে না। তিনি ঠিক তাই করেন। চকিত শট নিয়ে জয়সূচক গোলটি এনে দেন।
জার্মানির শুরুর একাদশে ছিলেন না ওজিল। আগের ম্যাচে তিনি সেন্টার মিডফিল্ডে খেলেছিলেন। এই ম্যাচে ড্রাক্সলারকে সেন্টার মিডে রেখে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে শুরু করে দলটি। সুইডেন যায় ৪-৪-২ ফর্মেশনে।
ম্যাচের শুরুতে জার্মানি দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও এগিয়ে যেতে পারেনি। ডান উইং ধরে আক্রমণে ওঠে দলটি। বক্সের ভেতর গোললাইন থেকে ৬ গজ দূরে বল পান জুলিয়ান ড্রাক্সলার। তিনি শটও নেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার সেটি ব্লক করে দেন।
৯ মিনিটের মাথায়ও ড্রাক্সলার আরেকটি সুযোগ পান। এবারও ডানদিক থেকে আক্রমণ হয়। কিন্তু ড্রাক্সলার জাল খুঁজে পাননি।
১৩তম মিনিটে মাঝমাঠের উপর থেকে বল পেয়ে যান সুইডেনের মার্কাস বার্গ। বল ধরেই গোলমুখে এগিয়ে যান। জার্মানির রক্ষণ তখন অগোছালো। গোলমুখ ছোট করতে বেরিয়ে আসেন ম্যানুয়েল ন্যয়ার। বার্গ তখন গোলের প্রায় কাছে। পেছন থেকে জেরোম বোয়াটেং ধাক্কা মারেন। সেই সঙ্গে ন্যয়ার এসে ব্লক করেন। সুইডেন পেনাল্টির আবেদন জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি।
জার্মানদের হতভম্ব করে দিয়ে সুইডেন এগিয়ে যায় ৩২তম মিনিটে। টনি ক্রুসের ভুল পাসে মাঝমাঠে বল পেয়ে যান ওলা ক্লায়েসন। তিনি বল দেন তোইভোনেনকে। বক্সে ঢুকেই চিপ করে ন্যয়ারের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জার্মানিকে নির্ঘাত বিপদের হাত থেকে বাঁচান ন্যয়ার।
পিছিয়ে বিরতি থেকে ফিরে জার্মানি সমতায় আসে দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮তম মিনিটে। ডানকোনা থেকে বক্সের ভেতর বল কাট করেন টিমো ওয়েনার। এক ড্রপ দিয়ে বল যায় মার্কো রয়েসের কাছে। লাফিয়ে ওঠা বল হাঁটুর নিচে লাগিয়ে জালে ঠেলে দেন।
৬১তম মিনিটে জার্মানি দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। বক্সের ভেতর বল প্লেস করেন কিমিচ। গোললাইন থেকে কয়েক হাত দূরে ছিলেন রয়েস। ব্যাকহিল করতে পারলেই গোল হয়ে যায়। সেই চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন রয়েস।
দ্বিতীয়ার্ধে সময় যত গড়াতে থাকে ততই ক্লান্ত হতে থাকে সুইডেন। আক্রমণ বাদ দিয়ে রক্ষণে মন দেয় দলটি। এই সময় গোলরক্ষক একাধিকবার তাদের রক্ষা করেছে। ৯২তম মিনিটে তো জুলিয়ানের শট কয়েক মিলিমিটারের জন্য গোল হয়নি। তার দূরপাল্লার শট বারের ভেতরের দিকে লেগে বাইরে চলে যায়!