স্পোর্টস ডেস্কঃ-
একেপেশে খেলা কাকে বলে তা দেখা গেল ইংল্যান্ড বনাম পানামা ম্যাচে। পানামার গোলকিপার যেন গোল খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন! ম্যাচের হাফ টাইমেই পানামার জালে ৫ গোল দিয়েছে হ্যারি কেনের দল! এই তারকা ফরোয়ার্ডের হ্যাটট্রিকে ম্যাচ শেষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৬-১। এতে গড়া হয়ে গেছে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোল দেওয়ার রেকর্ডও।
ম্যাচের ৮ম মিনিটেই পানামাকে এগিয়ে দেন জন স্টোন। সেই শুরু, এরপর আর প্রতিরোধই গড়তে পারেনি পানামা। গোলকিপার যেন বল ধরতে ভুলেই গিয়েছিলেন। ২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। দুই গোল খেয়ে একটু নড়েচড়ে ওঠে পানামা। তাদের নিজেদের মধ্যে পাসিং বাড়ি আক্রমণের চেষ্টা করতে থাকে। ২৮তম মিনিটে গোলমুখে আক্রমণ করলেও সফল হতে পারেনি পেরেজ।
৩৬তম মিনিটে বাঁদিক থেকে স্টার্লিংয়ের পাস পেয়ে ম্যাজিক্যাল শটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন লিনগ্রাদ। হ্যারি কেনকে খুব বাজেভাবে ফাউল করায় ৪০তম মিনিটে গোলের সংখ্যা একহালি পূরণ করেন স্টোন। ৪৩তম মিনিটে আরও বিপদে পড়ে যায় পানামা। রেফারি পেনাল্টি ঘোষণা করেন। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ৫ গোল দেওয়ার রেকর্ড গড়ে ফেলে ইংলিশরা। পঞ্চম গোলটির নায়ক স্বয়ং হ্যারি কেন।
এরপরই গ্যারি লিনকারের পর প্রথম কোনো ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের ইতিহাস গড়েন হ্যারি কেন। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে পানামার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন তিনি। আরও গোলের শংকা উড়িয়ে ৭৬তম মিনিটে বিশ্বকাপে প্রথম গোলের দেখা পায় পানামা। ৩৭ বছর বয়সী বদলি খেলোয়াড় বলোয়ের গোলটির পর যেন বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে পানামা। ম্যাচ শেষ হয় ৬-১ ব্যবধানে।