মোঃ রুহুল আমীন,আত্রাই প্রতিনিধি।
নওগাঁর আত্রাইয়ে কলেজ ছাত্রীকে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক-কর্মচারী উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করা হয়।
মিছিলটি কলেজ ক্যাম্পাস হতে শুরু করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রী,শিক্ষক-কর্মচারী পক্ষে বক্তব্যদেন উপাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম দুলু, ছাত্র নেতা রবিউল ইসলাম চঞ্চল।
পরে এ ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদের শাস্তি দাবী করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্রতবিচার আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
ঘটনায় প্রকাশ উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের মোঃ সৌখিন মন্ডলের কন্যা মোছাঃ শাহানাজ খাতুন (২২) এর সহিত একই গ্রামের মৃত. আব্দুস ছালামের পূত্র মোঃ সাদেকুল আলম খাঁন ( সাজ্জাদ) (২৫) এর সাথে প্রায় দুই বছর পূর্বে বিবাহ হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে এক বছর পূর্বে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে ছেলেটি অন্য মেয়ের সাথে দ্বিতীয় বিবাহ করে ঘর সংসার করতে থাকে এবং শাহানাজকে বিভিন্ন ভাবে বিয়ের জন্য প্রলোভন দিতে থাকে। কিন্তু শাহানাজ তার কথায় কোন সাড়া না দিয়ে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করে পুনরায় সুন্দর জীবন গড়ার লক্ষ্যে আত্রাই মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করতে থাকে। এরই জের ধরে গতকাল রবিবার মেয়েটি কলেজ শেষে প্রাইভেটের উদ্দেশে রওনা হলে উপজেলার বাইপাস রোডের তিন মাথা নামক স্থানে মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন ছেলেটি রাস্তায় মেয়েটির গতি রোধ করে তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিলে মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থান আগুনে ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিক মেয়েটি বাঁচার তাগিদে আত্রাই নদীতে লাফিয়ে পড়লে তার সঙ্গে থাকা দুই বান্ধবী উম্মে হাবিবা ও তাছলিমা আক্তার স্থানীয় লোক জনের সহায়তায় আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং মেয়েটির অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে লম্পট ছেলেটি জনতার হাত থেকে বাঁচতে আত্রাই থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে।