বেনাপোল প্রতিনিধি:
ভারত থেকে আমদানি করা ৩৮ টি পন্য বেনাপোল বন্দরে মোবাইল স্ক্যানিং
বাধ্যতা মুলক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেনাপোল কাস্টমস
হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক
চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিটি বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস,
কার্গো শাখা সহ আমদানি কারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের
কাছে পাঠানো হয়।
রাজস্ব ফাকি রোধে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গত মাসে এই স্ক্যানিং
মেশিনটি বসানো হয় বন্দরের অভ্যন্তরে। ট্রাকের ভেতর রক্ষিত পন্য স্ক্যািনং
করে ছবি সহ পন্যের বিবরন, পরিমান ও সংখ্যা নিরুপন করে কম্পিউটারে
প্রিন্টের রিপোর্টে প্ররন করবে । যে সব পন্যের উচ্চ ডিউটি রয়েছে
শুধুমাত্র সেসব পন্য স্ক্যাণিং এর আওতায় আনা হযেছে।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে উল্লেখিত পণ্যগুলোর চালানে বেশি
অনিয়ম হয়। এ ছাড়াও এসব পণ্যের মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ককর ফাঁকির ঘটনাও
ঘটে। এসব পণ্যে মোবাইল স্ক্যানিং চালুর ফলে পণ্য পাচার বন্ধ হবে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক সমিতির যুগ্ন সাধারন
সমস্পাদক আলীে হাসেন জানান, রাজস্ব ফাকি রোধে স্ক্যানিং মেশিন
বসানো হযেছে। ফলে পন্য খালাশ দ্রুত হবে। দেশের বেশিরভাগ শিল্প কারখানার
জরুরি কাঁচামাল আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। ব্যবসায়ীরাও চান এসব
পণ্য আমদানিতে স্ক্যানিং চালু করা হোক।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
বন্দরে মোবাইল স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। এতে করে পন্য দ্রুত খালাশ
রজিস্ব ফাকি বন্ধ হবে। তবে স্ক্যানিংয়ের জন্য আমদানিকারকদের নির্দিষ্ট
হারে অর্থও পরিশোধ করতে হবে।
বেনাপোল কাস্টমস যুগ্ন কমিশনার এহসানুল হক খান জানান, রাজস্ব
ফাকি রোধে মোবাইল স্ক্যানার বসানো হযেছে । এইটি যে কোন ধরনের
রাজস্ব ফাকি রোধে সক্ষম হবে। দ্রুত পন্য খালাশে আমদানি রফতানি বানিজ্যে
গতি ফিরে আসবে।