অনলাইন ডেস্কঃ
ধর্ষণে অভিযুক্ত ছেলে মহাক্ষয় মিমো চক্রবর্তী। এররপরও বেশ ভালভাবেই ছেলের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন বলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তামিলনাড়ুর উটিতে একটি হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে যথা সময়েই হাজির হয়েছিল কনেপক্ষ। বিয়ের পোশাকে ছাতনাতলায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মহাক্ষয়ও। কিন্তু শেষমেশ ভেস্তে গেল বিয়ে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত মহাক্ষয় বম্বে হাইকোর্টে অগ্রিম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সে আবেদন মঞ্জুর হয়নি। তবে দিল্লি আদালত থেকে শনিবার জামিন পেয়েছিলেন মহাক্ষয়। এমন অবস্থাতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছিলেন তিনি।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিয়ের পাত্রী অভিনেত্রী শীলা শর্মার মেয়ে মাদালসা শর্মা। মাদালসা নিজেও অভিনেত্রী। শনিবারই গাঁটছড়া বাঁধার কথা ছিল তাদের। কিন্তু বিয়ের আসরেই এসে উপস্থিত হয় পুলিশ। সেখানেই অতিথিদের সামনে ধর্ষণে অভিযুক্ত মিমোকে জেরা করতে শুরু করেন তদন্তকারী কর্মকর্তরা। আর এমন দৃশ্য দেখে বেঁকে বসেন কনে। তখনই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও আর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হননি মাদালসা। আসর ছেড়ে সেখান থেকে চলে যায় কনেপক্ষ।
মহাক্ষয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন আরেক অভিনেত্রী। হিন্দি ও ভোজপুরি সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।
সম্প্রতি ওই অভিনেত্রীর আইনজীবী রবি সোনি জানান, চার বছর ধরে মহাক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই অভিনেত্রীর। সেই সম্পর্কেরই সুযোগ নিয়েছেন মিঠুনপুত্র। ওই অভিনেত্রীর পানীয়তে মাদক মিশিয়ে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। সেই কারণেই এতদিন ওই নারী মুখ খোলেননি। কিন্তু সময় আসতেই ভোল পাল্টেছেন মহাক্ষয়। অন্য কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতেই শুরু হয় সমস্যা। সবকিছুর পরও মিমোকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ধর্ষণের অভিযোগ তোলা ওই অভিনেত্রী। কিন্তু মিমো ও তার মা যোগিতা বালি এই সম্পর্ক মানতে চাননি। তাই শেষ পর্যন্ত মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত ও হুমকির অভিযোগ তোলেন ওই অভিনেত্রী।
অন্যদিকে ধর্ষণের অভিযোগ সত্ত্বেও মিমোকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন মাদালসা। জানান, হবু বরের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে তার। কিন্তু জীবনের এমন বিশেষ দিনে পুলিশ হাজির হওয়ায় শেষমেশ বিয়ে ভেঙে দিলেন তিনি।