মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলার পশ্চিম ভাড়াউড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ১৩ বছরের সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলা নং-৩৫/১৯৫।
জানাযায়, শ্রীমঙ্গল আনোয়ারুল উলূম (ডিগ্রী) মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে একই উপজেলার পূর্ব পূর্বাসা আবাসিক এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার বখাটে ছেলে মোঃ জুয়েল মিয়া (২০) মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত।
মেয়েটি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে গত ২৬ জুন সকালে মাদ্রাসার সামন থেকে জোড় পূর্বক মেয়েটিকে অপহরণ করে সিএনজি গাড়ীতে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ২৮জুন মেয়ের বাবা মেয়েটির কাছ থেকে ফোনে খবর পেয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার অলিপুর গ্রাম থেকে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং অপহরণকারী জুয়েল মিয়াকে আটক করে পুলিশে দেন।
অপহৃত ভিকটিম জানায়, জুয়েল মিয়া আমাকে প্রায় সময় মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো ও প্রেমের প্রস্তাব দিত। আমি তার কাথায় রাজি না হয়ে বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালে তারা জুয়েলকে শাসিয়ে ছিলেন। ঘটনার দিন জুয়েল মিয়া তার এক বন্ধুকে নিয়ে মাদ্রাসার সামনে আমার মুখ চেপে ধরে জোড় পূর্বক সিএনজি গাড়ীতে তুলে ফেলে। আমি তখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমার জ্ঞান ফেরার পর একটি রুমে আটক অবস্থায় দেখতে পাই। এই রুমে আমাকে আটকে রেখে জুয়েল মিয়া এবং তার এক বন্ধু আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। দুদিন পর আমি ঐ বাড়ীর একজন লোকের মোবাইল ফোন থেকে আমার পিতাকে ফোন করি। তারপর আমার পিতা লোকজন নিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ সালেহ আহমদকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই এখন যখন শুনেছি ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে বিধি ব্যবস্থা নেব।