সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক
১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল থেকে মেঘহীন আকাশে সুর্যের
প্রখর তাপ অব্যাহত থাকায় মানুষজন খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া
কাজে বের হচ্ছেন না। দুপুর থেকে ফাঁকা হয়ে পড়েছে শহর, বন্দর ও
গ্রামের রাস্তা-ঘাটগুলো।
এ অবস্থা চলছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। বৃহস্পতিার দেশের
সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৩৯ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রাম
জেলায়।
এ অবস্থায় খুব প্রয়োজন ছাড়া রোদে বের না হওয়ার পরামর্শ
দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া
পর্যবেক্ষন অফিস সুত্র জানায়, শনিবার বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সেকেন্দার
আলী (৫৮) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঐ ব্যাক্তির বাড়ি
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সন্ন্যাসী গ্রামে। নিহতের
পারিবারিক সুত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার বাড়ির বাইরে রোদে
দাড়িয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সেকেন্দার আলী।
পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।
শুক্রবার প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে একজন রোগী কুড়িগ্রাম
জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা
গেছে।
গ্রামাঞ্চল গুলোর বেশিরভাগ মানুষজনকে গাছের নীচে অবস্থান
করতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রাম শহরের ওয়াহিদুজ্জামান জানান, শনিবার থেকে
সুর্যের প্রচন্ড তাপে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায়
বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম থাকায় ফ্যানের পাখায় জোড়ে ঘুরতে পারছে
না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব বিপদে আছে।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আমিনুল ইসলাম
জানান, এই গরমে মানুষজনকে সতর্ক থাকতে হবে। খাওয়ার
স্যালাইন, পর্যাপ্ত পানি ও শরবত খেতে হবে। রোদে দাড়িয়ে কাজ করা
যাবে না। শিশুদের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষন
অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার
সকালে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক
১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে শনিবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে হঠাৎ করেই এক পশলা বৃষ্টি
হওয়ায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।