ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পৌর
সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে কারেন্ট জাল। সরকার
কারেন্ট জাল উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, বাজারজাত, ক্রয় ও ব্যবহারকারীদের
বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে মাছের আকাল থেকে দেশ কিছুটা হলেও রক্ষা
পেত। সেই সাথে বাচানো যেত বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ।
বর্তমানে যেভাবে মাছের পোনা নির্বিচারে ধ্বংস করে চলছে এক
শ্রেণির অর্থলোভী অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তাতে করে শুষ্ক মৌসুমে সব
ধরনের মাছ সংকটে পড়বে দেশ। পোনা মাছ ধরার বিরুদ্ধে রেডিও টিভিসহ
সংবাদপত্রে প্রচারণা চালিয়েও কোন কাজে আসছে না সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ। প্রবাদে আছে ‘মাছের পোনা দেশের সোনা’। এ
কথাটি কেবল প্রবাদেই রয়ে গেছে। বাস্তবে এর কোন মিল নেই, নেই
প্রণীত এই আইনের কোনো কার্যকারিতা। অবৈধভাবে উৎপাদিত কারেন্ট
জালে ধরা পড়ছে ছোট ছোট সব প্রকার মাছ। ফলে জাল ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও
চলছে রমরমা। ফুলবাড়ীয়ার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে
কারেন্ট জাল বিক্রয় হওয়ার পরও উপজেলা মৎস্য অধিদফতর রয়েছে নিশ্চিুপ।
কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। সরেজমিনে ঘুরে উপজেলা
বিভিন্ন হাটে দেখা গোলো প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রির
মহাউৎসব। সরকার ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা কম ব্যস বা দৈর্ঘ্যর ফাঁস
জালের (কারেন্ট জাল) নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও তা কোনো কাজে আসছে না।
নিয়ম অনুযায়ী এ আইন অমান্যকারীকে ৫শ টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের
জেল অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার ঘোষনা রয়েছে। কিন্তু এসব আইনকে
বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্য শিকারীরা অবাধে কারেন্ট জাল
ব্যবহার করে শিকার করছে পোনা মাছ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিলুপ্ত হয়ে
যাবে বিভিন্ন নদী-নালা ও বিলের মাছ।