বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
গত বছর বর্ষার পরে সড়কটি সংস্কার করেছে সড়ক ও জনপথ। এবছরের বর্ষায়
সেটার কার্পেটিং উঠে এখন হাজারো গর্তে ভরে গেছে। স্বাভাবিক চলাচল
হয়ে পড়েছে প্রায় অসম্ভব। নাটোর-পাবনা মহাসড়কে নাটোরের বড়াইগ্রাম
উপজেলার বনপাড়া বাজার, বাইপাস, আহম্মেদপুর এবং গড়মাটির প্রবেশাংসে
সড়কের ভাঙ্গা ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। বিশেষ করে বনপাড়া বাজার এবং আহম্মেদপুর
এলাকায় ভারী ট্রাক আটকে পরার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সওজের সকল
আঞ্চলিক সড়ক চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে অনেকই আগেই। সেখানে
মাঝে মধ্যে ইটফেলে রিপু করা হয় তাতেই দায় শেষ।
এদিকে বনপাড়া বাজার ও আহম্মেদপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক নিরাপত্তার জন্য
সম্প্রতি ডিভাইডার দেওয়া হয়েছে। এরফলে বেড়েছে বিড়ম্বনা, সড়ক ভেঙ্গেছে
বেশী। এছাড়া ডিভাইডারের পাশ দিয়ে শুধুমাত্র একটি বাস-ট্রাক যাওয়ামত
জায়গা খালি রেখে অবশিষ্ট অংশ জুরে লোকাল বাস, সিএনজি অটোরিক্সা, ভ্যান,
ব্যাটারী ভ্যান, ফুটপাতের বসতি দোকানে দখল হয়ে থাকে। বিশেষ করে বনপাড়া
বাজারে গোপালপুর রোডের লোকাল বাস গুলো ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকায়
প্রতিদিন সৃষ্টি হয় জানজটের। আর সড়কের একটি নির্দিষ্ট অংশে গাড়ী
চলাচলের ফলে দেবে গিয়ে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে হাজারো গর্তের। সড়কের ওই
অংশে কোন ভাবেই স্বাভাবিক চলাচল করা সম্ভব হয় না।
বনপাড়া বাজারের বড় ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার জাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন,
বনপাড়ায় নতুন বাজার অংশে এবং আহম্মেদপুর বাজারে ডিভাইডার অংশে
সড়কের অবস্থা এতটাই নাজুক সেখানে এখই সংস্কার করা না হলে এ পথে যান
চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে যেকোন সময়। তবে নির্দিষ্ট ওই কয়েকটি স্থান সংষ্কার
করা হলে সড়কের বাঁকি অংশ ভাল থাকায় চলাচল হয়ে যাবে নিরাপদ।
স্কুল শিক্ষক বেনেডিক্ট গমেজ বলেন, বনপাড়া বাজারের সড়কের পাশে পানি জমে
থাকে, মাঝ অংশে ভাঙা। ফলে পথচারীদের পায়ে হেটে চলাচল অসম্ভব হয়ে গেছে।
বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে চরম বিপাকে। প্রায়ই কাদাছিঁটে
পোশক নষ্ট হয়ে যায় তাদের।
কলেজ শিক্ষক ও সাংবাদিক আতিকুর রহমান মৃধা বলেন, বনপাড়া বাজারে
ডিভাইডার নির্মাণের ফলে পথচারীর সড়ক পারাপার নিরাপদ হয়েছে। কিন্তু দুই
পাশে দাড়িয়ে থাকা যানের কারনে দূর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুন। এছাড়া
নির্দিষ্ট অংশে গাড়ী চলাচল করায় সড়কের ক্ষতি হয়েছে অনেক বেশী। তিনি
বলেন, সড়ক অংশে অযথাই দাড়িয়ে থাকা যান সড়িয়ে চলাচল স্বাভাবিক করতে
হাইওয়ে পুলিশকে একাধিকবার বলেও কোন কাজ হয় নাই।
বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, অতিবৃষ্টিতে সড়কে
পানি জমলে কার্পেটিং নষ্ট হয়ে যায়। ড্রেন না থাকায় এবং সড়কের দুই পারে
উঁচু করে দোকানপাট নির্মাণ করায় সড়কেই এসে বৃষ্টির পানি জমা হয়। আর
তাতেই সড়কের এই হাল হয় নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই। তবে নির্মাণ কাজেরও
কিছুটা দূর্বলতা রয়েছে বলে ধারণা করা যায়। তাছাড়া বছর না ঘুরতেই
সড়কের এই হাল হওয়া কথা না।
সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সংস্কারের জন্য বরাদ্দ
চাওয়া হযেছে। আর বৃষ্টির পানি জমার ফলে সড়ক নষ্ট হয় বেশী। সেবিষয়েও
করণিয় ঠিক করা হবে।**