সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ:
দেশের নৌ-পথে ও বিভিন্ন রোডে অবাধে চলছে লাইসেন্সবিহীন নানারকম
যানবাহন। এসব যানবাহনে মাদক দ্রব্যসহ নানারকম অবৈধ পণ্য
চোরাচালানী জমজমাট ভাবে চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঢাকার সদরঘাট, আরিচা, পাটুরিয়া
মানিকগন্ধসঢ়;জ সাভার আশুলিয়া,হয়ে বিভিন্ন স্থানে চোরাচালানী ব্যবসা
অবাধে চলছে। নদীর ওপাড়ে পাবনা, রাজবাড়ি, যশোর, খুলনা, বরিশালসহ
বিভিন্ন জেলার সীমান্ত দিয়ে আসা মাদক সহ নানারকম পণ্য ঢাকা
আসছে।
সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের হিলি সীমান্তসহ বিভিন্ন
সীমানÍ দিয়ে ভারতীয় নিষিদ্ধ অবৈধ পণ্য বাজারে আসছে লাইসেন্সবিহীন
বিভিন্ন নৌ- যানবাহন ও পরিবহনে। পাবনার নতুন থানা আমিনপুর
কাজীরহাট হতে আরিচা নৌ রুটে অবাধে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ট্রলার ও
স্পীটবোর্ড চলাচল করছে। এসব যানবাহনেও মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য
চোরাচালানী হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। যাত্রীরা অনেকেই বলেন- বাড়তি
টাকা দিয়ে স্পীটবোর্ডে নদী পারাপার করছেন কিছু ভি আই পি লোকজন
ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে দ্রুত পারাপার করে। স্পীটবোর্ডে এক একজন যাত্রীর
কাছ থেকে ১৫০- ৩০০ টাকা নেওয়া হয়।
বিশেষ করে ট্রলারে ওই নৌ-রুটে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত
পারাপার হচ্ছেন। দৌলদিয়া ও কাজীরহাট ঘাট হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার
যাত্রী সাভার, ঢাকায় যাতায়াত করেন। সময় সুযোগ বুঝে লাইসেন্সবিহীন
ট্রলার এবং বিভিন্ন নৌ-যানবাহন মালিকরা ঘাটের দুই পাড়ে বীড় জমায়।
সচেতন কিছু যাত্রী সূত্রে জানা গেছে, ট্রলার চালকরা নেভিগেশন আইন
সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। এতদসত্ত্বেও তারা প্রতিনিয়ত ওই নৌ-রুটে
তাদের ট্রলারযোগে হাজার হাজার যাত্রী ও নানারকম পণ্য পরিবহন করছে। আবার
যাত্রীদের অভিযোগ সময় সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট
প্রশাসনের রহস্যজনক নিরব ভুমিকায় এসব অবাধে চলছে।