আয়াত উল্ল্যা, নোয়াখালী থেকে: নোয়াখালীর সদর উপজেলার পূর্ব
চরমটুয়া ইউনিয়নে পূর্ব বিরোধের জেরে অস্ত্র মামলার আসামী ফয়সাল হোসেন ও তার বাহিনীর সদস্যদের
সন্ত্রাসী হামলায় ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতদের উদ্ধার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের চরকাউনিয়া গ্রামের নোয়ারহাট এলাকায় এ
হামলার ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলো, সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চরকাউনিয়া গ্রামের দুলাল
ব্যাপারীর ছেলে তিন সহোদর ফারুক হোসেন (২৬), আবুল ফাতাহ ভূঁইয়ার ছেলে শরীফ (২৩),
সজীব (২৮), সোহেল (৩০), শাহাবুদ্দিনের ছেলে সুজন (২৫), শাহ আলমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন
(২৯), মো. আমিনের ছেলে মানিক (৩০),আবু জাকেরের ছেলে আকরাম (৩২), মো. মন্নাফের ছেলে
হারুন (২৪), ও অলি উল্যাহর ছেলে রিয়াজ (২৫)। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক
মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, আহতদের সকলের শরীরের
বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলি লেগেছে। স্থানীয়রা জানায়, ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে চরকাউনিয়া গ্রামের
মোকাররম ভূঁইয়ার ছেলে একাধিক মামলার আসামী ফয়সাল হোসেনকে (৩৪) অস্ত্রসহ আটক করে আইন
শৃঙ্খলা বাহিনী। গত দুই মাস আগে সে ছাড়া পেয়ে এলাকায় আসে। পরে তার আটকের বিষয়ে স্থানীয় ইট
ব্যবসায়ী সোলায়মানের সহায়তা ছিল ধারণা করে দুই দফায় সোলায়মান ও তার বন্ধু ফারুক সহ
কয়েকজনের হামলা চালায়। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধ সহ ১০-১২ জন আহত হয়। এসব ঘটনায় পুনরায়
ফয়সাল ও তার বাহিনীর লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর দীর্ঘদিন
আত্মগোপনের থাকার পর ফয়সাল পুনরায় এলাকায় ফিরে এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু। এর জের ধরে
ফয়সাল একই এলাকার যুবক শরীফকে তার প্রতিপক্ষ ফারুক ও সোলায়মানের সাথে মিশতে মানা করে।
কিন্তু শরীফ বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখায় ফয়সাল শরীফের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে
শনিবার রাতে ফয়সাল ও তার লোকজন নোয়ারহাট সংলগ্ন শরীফের বাবা আবুল ফাতাহ ভূঁইয়ার মুরগি
খামারে হামলা চালায় এবং ফাঁকা গুলি ছুঁড়ো। পরে খবর পেয়ে ফারুক ও শরীফ স্থানীয়দের নিয়ে
খামারের উদ্দেশ্যে দৌঁড়ে গেলে রাস্তার পাশে লুকিয়ে থাকা ফয়সাল ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলি
নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এতে ফারুক ও শরীফ সহ ১০ জন গুলিববিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা
গুলিববিদ্ধদের উদ্ধার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. শাহেদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ
পাঠানো হয়েছে। আহতদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসা উপ-পরিদর্শক
(এসআই) বিপুল জানান, ছররা গুলির আঘাতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। স্থানীয় মোকাররম ভুঁইয়ার
ছেলে ফয়সাল হোসেন এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।