ঢাকা :
রাস্তায় চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে গাড়ি রাস্তায় নামাতে হবে।
চুক্তির ভিত্তিতে চালকদের হাতে বাস তুলে দেওয়ার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় যে পাল্লাপাল্লি হয়, তা ঠেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবহন পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, চুক্তি অর্থাৎ মালিক কর্তৃপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থ জমা দেওয়ার শর্তে চালকদের গাড়ি চালাতে দেওয়ার কারণে ওই অর্থ নিশ্চিত করতে এবং নিজেদের আয় আরও বাড়ানোর জন্য চালকরা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান, যে কারণে প্রায়ই রেষারেষিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে।
এসবের প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক পক্ষ মিলে চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো বন্ধ এবং নিয়োগকৃত ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। বুধবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি) ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কালামসহ নেতারা।
এনায়েত উল্লাহ বলেন, ঢাকার সব পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- আগামীকাল থেকে কোনো মালিক চালকের সঙ্গে কন্ট্রাক্টে গাড়ি চালালে তার নিবন্ধন বাতিল করা হবে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে। এ পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় এখন থেকে চালক নিয়োগকৃত ড্রাইভার হিসেবে গাড়ি চালাবেন।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বেপরোয়া বাসের পাল্লাপাল্লিতে চাপায় পড়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে সড়ক পরিবহন আইনও অনুমোদন করে। আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই মালিক-শ্রমিক কর্তৃপক্ষ চুক্তির ভিত্তিতে গাড়ি রাস্তায় নামানোর পদ্ধতি থেকে সরে এলো বলে মনে করা হচ্ছে।