অনলাইন ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের, যাঁদের সম্পৃক্ততা ছিল, কমিশন গঠন করে তাঁদেরও মুখোশ উন্মোচন করতে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এ দাবি জানান।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে সরকার বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত কুশীলবদেরও মুখোশ মামলার রায়ে প্রকাশ পেয়েছে।’
কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আওয়ামী লীগের যাদের সম্মতি ছিল, তাদের কথা নতুন প্রজন্ম জানতে চায় বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ‘নেপথ্যে থেকে অনেকেই সহযোগিতা করেছিলেন, অনেকেই মৌন সম্মতি ব্যক্ত করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু যাদের মৌন সম্মতি ছিল। এদেরও কিন্তু বিচার হওয়া উচিত। এদের কিন্তু চেহারা জনসমক্ষে উন্মোচিত হওয়া উচিত। সেই নপুংশক মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং যাঁরা বিদেশে ছিলেন, বিদেশে থাকার পরও দায়িত্ব পালন করেননি সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে। আমি আবেদন করব সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে, আইনমন্ত্রীর কাছে একটি কমিশন গঠন করা হোক।’
আগামী নির্বাচন ও গণতন্ত্র ধ্বংস করতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় এখনো দেশি- বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের আরেক বক্তা ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করে হতাশ হয়েছে বিএনপি-জামায়াত এবং এক-এগারোর কুশীলবরা। আগামী নির্বাচনে তারা চূড়ান্ত হতাশ হবে।
সুত্র, ntv online