সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের যত্রতত্র ময়লা
নুরুল আলম ডাকুয়া সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার নির্দিষ্ট কোন ভাগারখানা না থাকায় যত্রতত্র ময়লা
আবর্জনার স্তুপ গড়ে উঠায় স্কুল, কলেজগামি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ
পথচারিগণ চরম বিপাকে পড়েছেন। দুর্গন্ধের কারণে মুখে রুমাল চাপা দিয়ে
চলাচল করছেন পথচারিগণ। পাশাপাশি নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন
শিক্ষার্থীগণ। কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে ওইসব ময়লা, আবর্জনার
স্তুপের পাশ দিয়ে চলাফেরা করছেন প্রতিনিয়ত।
২০০৩ সালে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে দ্বিতীয়
শ্রেণীর পদমর্যদায় উন্নিত হয়েছে। পৌরবাসিদের নিকট থেকে যথা নিয়মে
কর আদায় করা হলেও আজও পৌরসভায় পানিয়জল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, লাইটিং
ব্যবস্থা, রিক্সা স্ট্যান্ড, গণ সৌচাগার, ভাগার খানা স্থাপন করা হয়নি। যার কারণে
দীর্ঘদিন থেকে পৌরবাসি তীব্র পানিয়জলের সংকটে দিনাতিপাত করে
আসছেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি বাদলেই পৌর শহরের যত্রতত্র
জমে যায় হাটু পানি। পাশাপাশি ভাগারখানা, গণ সৌচাগার না থাকায়
যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ এবং ময়লা আবর্জনার স্তুপ গড়ে উঠায় পৌর শহরের পরিবেশ
দূষিত হয়ে পড়ছে। এ কারণেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ
সাধারণ পথচারিগণ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এমনকি কোমলমতি
শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। লাইটিং
ব্যবস্থা না থাকায় পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ভুতড়ে অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে
রাতে। বিশেষ করে পৌর শহরের হাজী দবির কিন্ডার গার্টেন স্কুল সংলগ্ন বাজার
রোড, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন এলাকা, বাইপাস মোড়
এলাকা, তারাপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা, গুয়াবাড়ি থানা রোড এলাকায় ময়লা,
আবর্জনার স্তুপ গড়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ধসঢ়; আল মামুন
জানান, বরাদ্দ না থাকায় পানিয়জলের ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং ভাগারখানা
নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব সমস্যার চাহিদা বিভিন্ন দপ্তরে
পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।