শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

বাগেরহাটে রাস্তার বেহাল দশা  হাজার হাজার শিক্ষার্থী জনসাধারনের  ভোগান্তি চরমে 

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮
  • ৩০২ বার পড়া হয়েছে

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস: বাগেরহাটেমোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১২নং জিউধরা, নিশানবাড়িয়া-খাউলিয়ায় সাড়ে ৩ কি.মি. রাস্তার কর্দমাক্ততার জন্য ৭টি প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার শিার্থীসহ জনসাধারনের চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই রাস্তার কাদাঁয় শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণ চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে ওঠে।

১২ নং জিউধরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একরামখালী গ্রামের রাম হাওলাদারের বাড়ি থেকে খান বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি গর্ত ও জোয়ারের পানিতে মৎস্য ঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইউসুফিয়া মাদ্রাসা ও একরামখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মীরবাড়ি জামে মসজিদসহ মাদ্রসা বাজারের কলেজগামী-ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই ইউনিয়েনের এলাকাবাসীর পক্ষে একরামখালীর বাসিন্দা মো. মিজান তালুকদারের অভিযোগে এলাকাবাসির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ১২নং জিউধরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সরেজমিন তদন্ত পরিদর্শন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের নির্দেশ দেন। এলাকাবাসীর দাবী রাস্তা মেরামত সহ ইট দ্বারা স্বলিং করন এবং একটি পুল নির্মাণের জোর দাবী করেছে।

নিশানবাড়িয়া-খাউলিয়া সীমান্তবর্তী এ রাস্তাটি নিশানবাড়িয়ার রাস্তা নামে পরিচিত। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি সৃষ্টি পরবর্তী কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ব্যবস্থা করা হয়নি ইট সোলিং কিংবা কার্পেটিংয়ের। দুই ইউনিয়নের টানা পোড়নের এ রাস্তাটি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এ রাস্তা দিয়ে নিশানবাড়িয়া তাছেন স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিশানবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা, খাউলিয়া-নিশানবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় হাজার শিার্থীরা প্রতিদিন কাঁদা-মাটি ভেঙ্গে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। বিশেষ করে শিশুদের কাঁধে ব্যাগ, হাতে স্যান্ডেল আর কাঁদা থেকে চলাচলে হিমহিম খেতে হয়। অধিকাংশ অভিভাবক এ বৃষ্টি মৌসুমে তাদের শিশুদের বিদ্যালয় পাঠাতে চাচ্ছেনা। যার কারনে বৃষ্টি মৌসুমে এ তিনটি বিদ্যালয় শিার্থীর উপস্থিতির হার কমে যায়। বৃষ্টি হলে শিার্থীদের ছাতা, বই, ব্যাগ সামলানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে।

১৭০ নং নিশানবাড়িয়া তাছেন স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন মিয়া  বলেন, একদিকে রাস্তার কাঁদা অপরদিকে তার বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বৃষ্টি মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ততার জন্য শিশু শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সহকারী উপজেলা শিক্ষাঅফিসার মো. জাকির হোসেন  জানান, এ রাস্তার কাদাঁ মাটি ভেঙ্গে হাতে স্যান্ডেল আর কাদাঁ থেকে প্যান্ট সামলিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শনে যেতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু  বলেন, রাস্তাটির ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। শ্রীঘ্রই এর সমাধান হবে বলে আশা করছি।

নিশানবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে মোটর গাড়ি, ভ্যান সহ কোন যানবাহন চলতে না পারায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর দুর্দশার শিকার হতে হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451