নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকার সাভার আশুলিয়ায় মাত্র দুই শতাধিক সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের নিরাপত্তায় সেবামূলক কাজ করছেন সততার সঙ্গে। এমন অবস্থাতে সফল সরকারের উন্নয়ন ও সুনাম দেখে এক শ্রেণীর লোকজন তেলেবেগুনে জ্বলছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের সুনাম নষ্ট করতে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে আইন বিরোধী কাজ করছে ওই চক্রটি। সেই সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর সাথে সাংবাদিকদের শক্রতা সৃষ্টি করতে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ওই চক্রের সদস্য খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি।
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উক্ত খোরশেদ আশুলিয়া থানার জামগড়া ট্রাফিক বক্সের কাছে ফরিদ এর চায়ের দোকানে বসে বহু লোকজনের সামনে বলে যে আশুলিয়া থানার নতুন ওসি রেজাউল হক দিপু বলেছেন, সাভার আশুলিয়ায় জনগণের চেয়ে সাংবাদিক বেশি। পরে সাংবাদিক হেলাল শেখ, নাজমুল, জীবন, শাওনসহ উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেন এবং তারা বলেন, নতুন ওসি ধামরাই থানায় প্রায় ৩ বছর ছিলেন, সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওসি সাহেব খুব ভালো মানুষ, ওসি সাহেব এর বিরুদ্ধে এই বদনাম আর সাংবাদিকদের নিয়ে অপপ্রচার মেনে নেয়া যায় না বলে উপস্থিত জনতা খোরশেদকে হালকা কিছু মারধর করে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার নবাগত ওসি রেজাউল হক দিপু’কে সাংবাদিকরা জানান, ওসি সাহেব বলেন, আমি দুইদিন হলো এই থানায় এসেছি, আমি কেমন আপনারা সবাইতো ভালো জানেন। সাংবাদিক হেলাল শেখ বলেন, ওসি সাহেব খুব ভালো মানুষ, দয়াবান, তিনি বিষয়টি শোনার পর খোরশেদকে ছেড়ে দিতে বলেন। পরে সাংবাদিকরা শোরশেদ এর হাতে একটি কাগজে লিখিত নেন, আর কোনদিন পুলিশ ও সাংবাদিকদের নিয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করবে না। এর পর তার স্ত্রীর জিম্মায় শোরশেদকে সম্মানের সহিত ছেড়ে দেয়া হয়।
এরা অনেকেই শ্রমিক নেতা, অথচ উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা তো দূরের কথা! এদের অনেকেরই প্রাথমিক শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কিছু শ্রমিক নেতারাই শ্রমিক আন্দোলন সৃষ্টি করে বলে তথ্য রয়েছে, সঠিকভাবে নিজের নামটিও লিখতে পারেন না এইসব নেতারা।
এরা প্রতারণামূলক ভাবে অনেক অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অনেকেই জানান। এরা প্রতারক, মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনসহ বিভিন্ন সিন্ডিকেট এর সাথে জড়িত। অনেকেই এলাকার রাজনৈতিক নেতা ও কিছু পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে নতুন নতুন কৌশলে দাপটের সাথে চলে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়।
উক্ত অনুসন্ধানে প্রতিটি এলাকার প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ ও সহযোগীতা কামনা করছেন প্রকৃত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, ও সচেতন মহল। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাংবাদিক নেত্রীবৃন্দরা। আর যেন খোরশেদ এর মত কেউ পুলিশ ও সাংবাদিকের উপর হামলা, মামলা না করতে পারে এ বিষয়ে সবাই সচেতন হতে হবে।
বাংলারপ্রতিদিন/হেলাল