শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

চাটখিল সোনাইমুড়ীতে ৪ সন্ত্রাসীর বাহিনীর কাছে ৬০ হাজার মানুষ জিম্মি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

 

এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : নোয়াখালী চাটখিল সোনাইমুড়ীতে ৪ সন্ত্রাসীরবাহিনীর কাছে ৬০ হাজার মানুষ জিম্মি সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নং ইউনিয়ন জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অস্ত্রধারী কিং মোজ্জাম্মেল বাহিনী। চাটখিল উপজেলার ৯ নং ইউনিয়নব্যাপী মো. সুমন (২৮) (প্রকাশ এলজি সুমন) ও সাইফুল আজম সুজন (৩৬) (প্রকাশ ইয়াবা সুজন) এবং সালাউদ্দিন (৩০) (প্রকাশ পিস্তল লাভলু) সোনাইমুড়ীর কিং মোজ্জাম্মেল নামের ৪ সন্ত্রাসীর ভয়ে ৬০ হাজার মানুষ আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। এই ৪ সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে চাটখিল শোশালিয়া গ্রামের ডাকাত খোকন, আবুল কাশেমসহ ১৫-২০ জনের একটি সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে ৯ ইউনিয়ন জিম্মি হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৩নং পরকোট ইউনিয়নের পশ্চিম শোশালিয়া গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী আলীপুর, করপাড়া, কচুয়া বাজার, আতাকরা, দৌলতপুর, ইয়াসিন হাজীর বাজার, সহ শাহাপুর বাজারের ৬০ হাজার মানুষ বর্তমানে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উপরোক্ত এলাকাগুলোতে প্রতিদিন ঘটেই চলছে কোনো না কোনো ঘটনা। চাটখিলের বর্তমান রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের সুযোগে এসব সন্ত্রাসী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতার শেল্টারে গিয়ে নিজের অপকর্ম চালিয়ে নিচ্ছে খুব সহজেই। এসব সন্ত্রাসীরা আগে কোনো এক সময়ে যুবদল, জামায়াত পরে সরকারের পটপরিবর্তনের পরে নিজেদের কখনো ছাত্রলীগ কখনো যুবলীগ কর্মী পরিচয়ে অবাধে নিজেদের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ চাইলে অনেক সময় নেতাদের চাপে ওদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ওই ৪ সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ থানায় বা সংশিলষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছেও কোনো অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না। রামগঞ্জ-চাটখিল থানার সীমান্ত্যবর্তী অঞ্চল হওয়ায় চাটখিল থানা পুলিশ একান্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা ছাড়া এ গ্রামগুলোতে টহল নেই বললেই চলে। আর এরই সুযোগে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিজের মনমত চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে ওই বাহিনীর এলজি সুমন, আর ইয়াবা সুজন একই গ্রামের পিস্তল লাভলু। মূলত বাহিনী প্রধান ইয়াবা সুজনের নেতৃত্বেই চলে সব অপরাধমূলক কর্মকান্ড সম্প্রতি তারা একটি টর্চার সেল খুলেছে। চাটখিল-রামগঞ্জ সীমান্তবর্তী শোশালিয়া কালাদত্তের বাড়ির বাগানের মাঝখানে প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের পরিত্যক্ত একটি ঘর ওই বাহিনীর নিরাপদ টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর ওই টর্চার সেলের দায়িত্বে রয়েছে দত্তের বাড়ির মৃত আ. হালিমের ছেলে মো. বাবলু (প্রকাশ জল্লাদ ভাবলু)। বিভিন্ন স্থান থেকে অপহরণ করে নিরাপরাধ যুবকদের ধরে এনে ওই ঘরের ভিতর বেদম পিটানোর দায়িত্বও জল্লাদ ভাবলুর। এলোপাতাড়ি পিটানোর পর মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি করা হয়। এরপর দাবিকৃত টাকা হাতে পেয়েই রক্তাক্ত অবস্থায় বিভিন্ন শর্ত দিয়ে অভিভাবকের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এভাবে গত আগস্ট মাসের ১ম থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় শোশালিয়া মুন্সী পাটোয়ারী বাড়ির সাত্তারের ছেলে মো. নাছিরকে অপহরণ করে ৪০ হাজার টাকা, একই গ্রামের ওয়াহেদ পাটোয়ারী বাড়ির আজিজের ছেলে ফারুকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, অবদুল বেপারী বাড়ির মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে রোকন উদ্দিনকে অপহরণ করে ১৫ হাজার টাকা, পূর্ব করপাড়া মিরন পাটোয়ারী বাড়ির মিরন পাটোয়ারীর ছেলে শরীফ হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা লুটে নেয় এই সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন। সম্প্রতি ওই বাহিনীর পিস্তল লাভলু আলীপুর উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন আলীপুর বাজারে নুরুজ্জামানের বিকাশের দোকান থেকে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসবের পাশাপাশি ইয়াবা সুজনের নেতৃত্বে কচুয়া বাজার, আটঘর বাজার, আলীপুর পচা মার্কেট ব্রিজের গোড়া, শোশালিয়া মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন তাজুল ইসলাম ভতার (প্রকাশ ভান্ডারি ভতা) চা দোকানে অবাধে ইয়াবা বিক্রি ¯পট গড়ে তুলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিম শোশালিয়া মোশারফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা জানান, স্কুলসংলগ্ন ভতা ভান্ডারীর চায়ের দোকানের পিছনে কেরাম বোর্ড বসিয়ে জুয়া খেলাসহ ছোট বাচ্চাদের কাছে গাঁজা বিক্রি করে আসছে। আর ওই গাঁজা আসক্তের কারণে আমার সন্তানকে নিয়ে আমি বিপদে আছি। বিভিন্ন মাধ্যমে চাটখিল পুলিশ বিষয়টি বারবার জানানোর পরও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে নিশ্চুপ রয়েছে। বাহিনীপ্রধান সাইফুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ৩নং পরকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম মুন্সী এই প্রতিনিধিকে জানান, শোশালিয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী নামে কোনো বাহিনী নেই। এরা আওয়ামী লীগ করে। এটাই তাদের বড় অপরাধ। আর রাজনীতি করতে গেলে এরকম টুকটাক ঝামেলা সৃষ্টি হবেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451