সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যুবলীগ এখন আর কোনো মাস্তানদের সংগঠন নয়, আদর্শিক কর্মীদের সংগঠন। এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন পড়ালেখা করে। তাদের মধ্যে সৌজন্যতাবোধ তৈরি হয়েছে।’
সোমবার শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক চিত্রপ্রদর্শনী ও আলোচনাসভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
যুবলীগের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জঙ্গি সন্ত্রাসীদের শেকড় সারাদেশে বিস্তৃত। টোকা দিলেই তাদের উপরে ফেলা যাবে না। সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমে এদের মোকাবিলা করতে হবে। যা যুবলীগ এরই মধ্যে শুরু করেছে। যুবলীগের এমন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হবে।’
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘রাজনীতিতে এখন সৌজন্যতাবোধের বড়ই অভাব। রাস্তাঘাটে বের হলে দেখা যায় সৌজন্য পোস্টার, সৌজন্য ব্যানার, সৌজন্য তোরণ। কিন্তু রাজনীতির আচরণে কোনো সৌজন্যতা দেখা যায় না। তবে বর্তমান নেতৃত্বের কল্যাণে যুবলীগে এখন সৌজন্যতাবোধও তৈরি হয়েছে।’ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ডিজিটাল হলেও আচরণে আওয়ামী লীগের ঐহিত্য অনুযায়ী যুবলীগের কর্মীদের ‘ট্রেডিশনাল’ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘২০০৪ সালে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে তা বিএনপি জোট সরকার আর হাওয়া ভবনের কলঙ্ক। এই হামলার ফলে তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি কালিমাযুক্ত। এই কলঙ্ক তারা কখনো মুছতে পারবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘সেদিন তারা ধরেই নিয়েছিল শেখ হাসিনা শেষ হয়ে গেছেন। কিন্তু ইতিহাসের পরিণতি হচ্ছে সেদিন যারা ইতিহাস বদলে দিতে চেয়েছে আজ তারাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে স্বাধীনতা আর অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলনের দুই উত্তরাধিকার বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে কেউ মুছতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ সাইফুজ্জামান শিখর, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আবদুস সাত্তার মাসুদ, বেলাল হোসাইন, আতাউর রহমান, অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন, আনায়োরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, ফারুক হাসান তুহিন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ ফজলে নাঈম, শেখ ফজলে ফাহিম, রওশন জামির রানা প্রমুখ।