রামগঞ্জ (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি-সাবেক সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারন আবদুর রহিম ভিপির বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল করেছে ৪নম্বর ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী ও বিপুল সংখ্যাক মহিলা।
একের পর এক বিভিন্ন ইউনিয়নে মামলা হামলার শিকার ও দলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত লোক দিয়ে কমিটি গঠনের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইছাপুর ও সোন্দড়া গ্রামে এ বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বদরোদ্দৌজা, চলতি বছরের জুন মাসে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বাহার ভিপিকে বাদ দিয়ে করপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুর রহিম ভিপিকে সাধারন সম্পাদক, উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু, ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন, লামচর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা টিপু সুলতান, রামগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রফিক উল্যাহ পাটওয়ারী, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু ও গত রবিবার ৪নম্বর ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান হাজী অলি উল্যাকে বাদ দিয়ে বিতর্কিত লোক দিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে ৬৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এসময় সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতাবৃন্দকে গ্রামে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ও জানান স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
নতুন কমিটির ঘোষণা দেয়ার পর থেকে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইছাপুর ইউনিয়নের প্রত্যকটি ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরাসহ মহিলারা জড়ো হন সোন্দড়া মাদ্রাসা মাঠে। পরে নেতাকর্মীরা ঝাড়– ও জুতা নিয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ এবং সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম ভিপির বিরুদ্ধে ঝাড়– ও জুতা মিছিলের আয়োজন করে।
মিছিল পরবর্তি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী অলি উল্যাহ, ইউনিয়ন যুবদল সাধারন সম্পাদক মো: রবিউল আলম, ইউনিয়ন স্বেচ্চাসেবকদল সভাপতি আকবর পাটওয়ারী, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মো: বোরহান উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবদল সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা জানান, ঢাকায় বসে গোপনে নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কমিটি গঠন কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একের পর এক দলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে আতাঁতকারীদের কমিটিতে স্থান দেয়া হচ্ছে। নাজিম উদ্দিন হচ্ছেন আওয়ামীলীগের দালাল। বর্তমানে ঢাকার এক শিল্পপতির সাথে গোপনে বসে বিএনপি, যুবদলসহ অন্য কমিটিতে পরিবর্তন আনার পায়তারা করছে ঢাকায় বসে। বিগত দিনে সরকারী বিরোধী আন্দোলন, খালেদা জিয়ার গ্রেফতার প্রতিবাদে কোন দলীয় কর্মকান্ড করা হয়নি। সবাই ঢাকায় বসে রাজনীতি করে। অথছ যারা গ্রামে আছেন, তারা প্রতিনিয়ত মামলা হামলার শিকার হচ্ছেন।
তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক বিএনপি দলীয় সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ জানান, গত ২১ বছর ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপিসহ অন্য ইউনিয়নগুলোতে কমিটি হয়নি। কমিটির বর্তমান পদধারী নেতাদের কর্মকান্ডের উপর ভিত্তি করেই নতুন নেতৃত্ব আনা হচ্ছে। সামনে নির্বাচন, আর এখনি দলকে সু-সংগঠিত করতে না পারলে সামনে আন্দোলনে গতি ফিরে আসবে না।
বাংলার প্রতিদিন/কাউসার