নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়াসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও দোকানে অবাদে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল, নিম্ন মানের খাদ্য পণ্য, খাদ্যে অপবিত্রতা দেখা যায় সর্বত্র।
২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় বেকারী, মিষ্টির কারখানা, হোটেলে ভেজাল ও নিম্নমানের খাবার তৈরি করে বাজারজাত করছে অনেকেই। এর সাথে জীবন রক্ষাকারী পানির বোতলের গায়ে দেখা যায় ডেটফেল।
জানা গেছে, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসন ও জনগণকে ফাঁকি দিয়ে খাদ্যপণ্য তৈরি করছেন, এবং এসব খাদ্যপণ্য বিভিন্ন দোকানপাটে অবাধে বিক্রি করছে আর এসব ভেজাল খাবার খাওয়ায় অনেকের নানারকম রোগ হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, গভীর রাতেই বেশিরভাগ মিষ্টির কারখানায় ও বেকারীগুলোতে ভেজাল ও নিম্নমানের খাবার তৈরি করা হয়। সেই সাথে ভাঙ্গা, পচাঁ ও গন্ধ ডিম দিয়ে কেক তৈরি করে অনেক কারখানায়, কিছু হোটেলে এক,দুই দিন আগের পঁচা খাবারও গরম করে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
তথ্যে জানা গেছে, আশুলিয়ার জামগড়ার বাগবাড়ি রোডে দুইটি বড় বেকারী, বটতলায় ধামরাই সুইট, বেরুন এলাকার শাহিন নুর সুইট, লিজা বেকারী, কাঠালতলা মুসলিম বেকারীসহ ভি আ ইপি এলাকা নবীনগর, পল্লী বিদ্যুৎ, ও বাইপাইল, জিরানী বাজার, ভাদাইল বাজার, পুরাতন আশুলিয়া, জিরাবো বাজার, কাঠগড়া বাজার, নসিংহপুর, নিচিন্তাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে এসব ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছে।
গতকাল গভীর রাতে কিছু এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের করে বেশি লাভের আশায় মানুষকে ঠোকিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন।
এ বিষয়ে বেরুণ এলাকার শাহিন নুর সুইট এর মালিক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দোকান পরিস্কার রেখেছি, কিছু খাদ্যপণ্যের ডেটফেল, প্রশ্ন করা হলে আপনি ডেটফেল খাদ্য দোকানে রাখছেন কেন? জবাবে তিনি বলেন, আমার কারখানাতেই তৈরি করা হয় এসব খাদ্যপণ্য। ওই মিষ্টির কারখানায় দেখা যায়, পচাঁবাসি ভেজাল ও নিম্নমানের অনেক মিষ্টিজাত খাবার রয়েছে। কিছু পণ্যের স্টিকার ব্যবহার করছে যাহার কোনো টেডমাক নাই।
এ ব্যাপারে সাভারের নয়ন (৩০) বলেন, আমি ২ কেজি মিষ্টি কিনেছি ৪০০/টাকা দিয়ে, সেখানে বক্সটির ওজনই ২৪৬ গ্রাম। অন্য একজন ফরিদ মিয়া বলেন, খাদ্যপণ্য ওজনে কম দিয়ে বিক্রি করছেন অনেক ব্যবসায়ী, এ যেন দেখার কেউ নেই।
অন্যদিকে আশুলিয়ার বাগবাড়ির নাজমুল, হোসেন বলেন, হাট-বাজারে অনেক দোকানে ও হোটেলে এবং বেকারীতে পঁচা ডিম দিয়ে কেক, বিস্কুট তৈরি করে আর সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে, এসব ভেজাল ও নিম্নমানের নকল খাদ্য খাওয়ার পর অনেক মানুষের নানারকম রোগ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা সহকারি পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এর আগে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় ভেজাল বিরোধী অভিযান চলছে, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে, দোষী ব্যক্তি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।