বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে উৎষব মুখোর পরিবেশে পালিত হলো দুর্ঘা পুজা। দেবী দূর্গার ঘুম ভাঙানোর বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দূর্গোৎসব। উৎসব প্রিয় বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায় মেতে উঠে পূজার আনন্দে। পূজা মন্ডপগুলো আলোসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠে। মন্দিরে মন্দিরে শোনা যায় ঊলুধ্বনী, শঙ্খ, কাঁসা আর ঢাকের বাদ্য। ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন মা দূর্গা। ডালা সাজিয়ে ভক্তরা এসেছিলেন মাতৃমন্ডপে।
মাতৃবন্দনায় অশুভ শক্তির বিনাশে “মঙ্গলময়ী” দেবী দূর্গার জাগরণে জগতে সুর শক্তি প্রতিষ্ঠার প্রার্থনা করেছেন তারা। মন্ডপগুলোতে ভক্তদের উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়। এবার উপজেলার ৪৯টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে শারদীয় দূর্গাপূজা। দুই পৌরসভায় ১০টি, বড়াইগ্রাম ০৯টি, জোয়ারী ০৯টি , জোনাইল ০৭টি, নগর ০৮টি, মাঝগাঁও ০৪টি, গোপালপুর ০২টি ইউনিয়নে শারদীয় দুর্গা উৎষব পালিত হচ্ছে।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা যায় উৎষব মুখোর পরিবেশে পালিত করছেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা।
বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ভরতপুর দুর্গা মন্দির স্বাজসজ্জা থেকে জাবতীয় দায়ীত্ব পালন করছে ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাাম। হিন্দু মুসলিম বিভেদ ভুলে আনান্দে মেতেছে মানুষ।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ওয়ার্ডে এই মন্দিরে হিন্দু মুসলিম বড় কথা নয় উৎসকে মেতেছে সবাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ বলেন, সরকারি অর্থায়নে প্রতিটি পুঁজা মন্ডপে ৫শ’ কেজি করে চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার পূজা মন্ডপে ২১৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস জানান, দূর্গাপূজা শান্তিপুর্ণ ভাবে পালনের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সঠিক ভাবে দায়ীত্ব পালন করেছেন।