টি.আই সানি গাজীপুরঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজারের আম্বলা ফাউন্ডেশন নামের এক এনজিওর ফাঁদে পরে সর্বসান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে অনেকেই।
তেমনি এক ব্যবসায়ী টেপিরবাড়ি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে জাকির হোসেন। তাঁর স্ত্রী আম্বালা ফাউন্ডেশন নামের এনজিওর জৈনা বাজার শাখা হতে ঋণ গ্রহন করেছিলেন। আর এরই সূত্র ধরে ব্যবসায়ীকে হয়রানী করে যাচ্ছেন উক্ত এনজিও।
জাকির হোসেন জানান,গত ২০১৬ সালে আম্বালা ফাউন্ডেশন এনজিও হতে তাঁর স্ত্রী ফরিদা শেখ ব্যবসায়ের জন্য ১০লাখ টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের জন্য ৩বছর মেয়াদে ঋণ গ্রহন করেন। এসময় উক্ত ঋণের জামিনদার হন তিনি এবং তার এক দুরসম্পর্কের ভাই মফিজুল ইসলাম। ঋণ গ্রহণের সময় জামিনদার উভয়ের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংবলিত প্রায় ২০টি খালি চেক নেয় কর্তৃপক্ষ এবং শ্রীপুর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে জমি মর্টগেজ করেন। এদিকে এ পর্যন্ত নিয়মিত কিস্তি দিয়ে প্রায় ৮লাখ টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। তবে গত কয়েকমাস আগে ব্যবসা বানিজ্য খারাপ থাকায় কযেকটি কিস্তি বকেয়া পরে। এ সুযোগে জামিনদার দুই জনের নামে তাদের জমা রাখা খালি চেকে ৮লাখ ২০হাজার টাকা করে মোট ১৬লাখ টাকা অংক বসিয়ে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন এনজিও কর্তৃপক্ষ। এদিকে এ বিষয়ে তাদের সন্দেহ হলে তারা মর্টগেজের দলিলের নকল তুলতে গিয়ে দেখতে পান এনজিও কর্তৃপক্ষ নিদ্দিষ্ট ব্যক্তির নামে তাদের কোটি টাকার জমি আমমোক্তারনামা দলিল করে নিয়েছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা আরো মামলা করার হুমকী দেন। এদিকে এনজিও কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশ দিয়ে তাদের হয়রাণী করে যাচ্ছেন।
ঋণ গ্রহনকারী ফরিদা আক্তার জানান,আমি অধিকাংশ টাকা পরিশোধ করেছি ব্যবসা খারাপ থাকায় কয়েকটি কিস্তি বকেয়া পড়ায় তাঁরা আমার বিরুদ্ধে মামলা না করে জামিনদার দুই জনের নামে চেকের মামলা করেছে। অথচ তিন বছর মেয়াদী এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ২০১৯ সাল পর্যন্ত রয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে আমাদের জমি মর্টগেজ দলিল না করে ব্যক্তির নামে পাওয়ার দলিল করে নিয়েছে। এমন ভাবে এলাকার অনেক লোকের কাছ হতে জমি হাতিয়ে নিচ্ছে। মামলায় এবং আমমোক্তারনামা দলিলে কোথাও ঋণের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানের নামে জমি মর্টগেজ না নিয়ে ব্যক্তির নামে আমমোক্তার নামা দলিল রেজিষ্ট্রি করে নেয়া ও ঋণের মেয়াদ থাকা সত্বেও জামিনদারদের নামে মামলার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের জৈনা বাজার শাখার ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম জানান,এটাই নিয়ম এভাবেই আমরা সারা দেশ জুড়েই ব্যবসা করছি।