নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে একটি পোশাক কারখানায় খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়ে দুইদিনে প্রায় ৪ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনার পর তাদের দ্রুত উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ও সোমবার সকালে ধামরাই পৌর এলাকার স্নোটেক্স আউট ওয়্যার লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্নোটেক্স কারখানার সুইং অপারেটর মমতাজ বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ দুপুরে শ্রমিকদের ভাত, ডাল ও মুরগির মাংস এবং লাউয়ের সবজি খেতে দেয়। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে স্নোটেক্স আউট ওয়্যার লিমিটেড কারখানার অ্যাডমিন এক্সিকিউটিভ মো. জাফর উল্লাহ বলেন, প্রতিদিনই আমরা কারখানায় শ্রমিকদের দুপুরে খাবার দিয়ে থাকি। একই খাবার কারখানার প্রায় আট হাজার শ্রমিক খেয়েছে। এর মধ্যে কিছু শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
স্নোটেক্স কারখানার সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল হোসেন বলেন, রবিবার দুপুরে খাবার খেয়ে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। কিন্তু কারখানার তিন তলার সি ব্লকের বেশ কিছু শ্রমিক বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারখানাটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় খরচ কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলেও জানান তিনি।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরি বিভাগে চিকিৎসক বলেন, স্নোটেক্স কারখানায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে ৬৭ রোগি ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাকিব আল মাসুদ বলেন, স্নোটেক্স কারখানার প্রায় এক শত শ্রমিক বমি, মাথা ব্যাথা, বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান গতকাল ও আজ সোমবার সকালে ১৬৩ জনসহ চার শতাধিক শ্রমিককে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো বলে জানিয়েছেন।
উক্ত বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন অসুস্থ্যদের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী। এ রিপোর্ট লেখা অবস্থায় কারো কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।