মো: আব্দুর রহিম, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি:বড়লেখায় নিখোঁজের দু’দিন পর বুধবার সকালে বসত বাড়ির পরিত্যক্ত রান্নাঘরের জানালার গ্রিলের সাথে মূখ বাঁধা ও দন্ডায়মান অবস্থায় প্রান্ত দাস নামে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে বর্নি এম. মন্তাজিম আলী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা এ নিয়ে এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। নিহতের বড় ভাই শুভ দাসের দাবী পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মো: আবু ইউসুফ। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের সনত চন্দ্র দাসের ছেলে প্রান্ত দাস (১৯) প্রায় ৬ বছর ধরে বর্নি ইউনিয়নের নয়াগ্রাম (মিহারী) গ্রামে মামা মৃত করুণাময় দাসের বাড়িতে মামাতো ভাই সুমন দাসের পরিবারের সাথে বসবাস করছে।
এখানে থেকে সে বর্নি এম. মুন্তাজিম আলী কলেজে পড়াশুনা করতো। মামাতো ভাই সুমন দাস জানান, সোমবার রাতের খাবারের জন্য প্রান্ত দাসকে ডাকতে গিয়ে তাকে ঘরে পাননি। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজেও তার সন্ধান মিলেনি। পরে প্রান্ত দাসের বড়ভাই শুভ দাসকে নিয়ে দুইদিন স্বজনদের বাড়িতেও খোঁজাখুজি করি। বুধবার সকাল ৬টার দিকে পাশের বাড়ির দুই শিশু বসতঘরের পাশের পরিত্যক্ত রান্নাঘরের দক্ষিণের জানালার গ্রিলের সাথে মুখ বাঁধা দন্ডায়মান অবস্থায় প্রান্ত দাসের লাশ দেখে তারা চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশে খবর দেই।
নিহত প্রান্ত দাসের বড়ভাই শুভ দাস জানান, ২ দিন ধরে তার ভাইয়ের কোন খোঁজ পাননি। তিনি অভিযোগ করেন, কেউ পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করে রাতের আঁধারে জানালার গ্রিলের সাথে মূখ বেধে রেখে গেছে। তিনি তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চান। লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী বড়লেখা থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত প্রাপ্ত দাসের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ড তা ময়না তদন্ত রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।