জয়নাল আবেদীন লক্ষ্মীপুর।।
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে ডিমওয়ালা (মা) ইলিশ শিকার নিষিদ্ধের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও এখনও জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রচুর ডিমওয়ালা (মা) ইলিশ।
বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর ) দুপুরে উপজেলার উত্তর চরবংশী পুরাণ বেড়ি, হাজীমারা, মোল্লার হাট বাজারসহ বিভিন্ন মাছের বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তথ্য জানায়, সরকার ২২দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ঘোষণা করলেও প্রজননের জন্য এ সময়টা যথেষ্ট নয় বলে মৎস্যজীবীরা দাবি করছে।
উপজেলার রায়পুর হায়দারগঞ্জের বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী আবু, সিডু সর্দার, হযরত আলী, জানান- বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫০ হালি থেকে ৭০ হালির মতো ইলিশ বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে ৮ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের তিনের দুই ভাগের পেটেই ডিম দেখা গেছে।
জাতীয় মৎস্য সমিতির লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি মোস্তফা বেপারি বলেন, আড়তে প্রচুর ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছে। এবং দামেও বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ কমে বিক্রি করা হয়েছে। রবিবার মধ্য রাতের পর জেলেরা মেঘনা নদী থেকে এই মাছ ধরেছেন। বেশির ভাগ মাছের পেটে ডিম বোঝাই।
তিনি বলেন, জেলেরা ২৮ অক্টোবর রাত ১২ টার পর নদীতে জাল ফেলে সকালে জাল টেনে একেক নৌকায় ৫০ থেকে ১শ’ কেজি করে ডিমওয়ালা (মা) ইলিশ পেয়েছেন। আরো কিছুদিন সময় পেলে হয়তো এসব মাছেও ডিম ছাড়তো বলে জেলেদের ধারণা।
জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মোস্তফা বেপারি বলেন, অবরোধের সময় সীমা আরো কিছুদিন বাড়ানো উচিৎ। কারণ বুধবার সকালে মাছের বাজারে গিয়ে অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম দেখা গেছে। ২২ দিনেই সব মাছ ডিম ছাড়তে পারেনি।
সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সবুজ বলেন, সারা বছর কোনো না কোনো ইলিশের পেটে ডিম থাকে। প্রজননের এ সময়টাতে ৫০ ভাগ মাছ ডিম ছাড়লেই সেটা অনেক পাওয়া। যে সব মাছ ডিম ছেড়েছে সে গুলো গভীর সমুদ্রে চলে গেছে বলে তিনি জানান।