টি.আই সানি, গাজীপুরঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে পৌর এলাকার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামের আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের স্বীকার ঐ শিশুর পিতা পৌর এলাকায় জৈনক ইব্রাহীমের বাসায় ভাড়ায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরী করেন।
(২ নভেম্বর) শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় ওই ঘটনা ঘটে। ধর্ষক মোশাররফ (৩২) ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার সারগ্রা গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। সে শ্রীপুর পৌর এলাকার জৈনক শামছুল হকের বাসায় ভাড়ায় থেকে ক্রিস্টাল পোশাক কারখানায় চাকরী করেন।
ধর্ষিতার মা জানান, সকাল নয়টায় আমার মেয়ে বাসার পাশে মাঠে খেলছিলো। তখন ধর্ষক মোশাররফ তার থাকার ঘরের জানালা দিয়ে মজার লোভ দেখিয়ে তার ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে।
ঘটনা জানাযানি হলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইলিয়াস, জাহাঙ্গীর, ও বাড়ীর ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন ৪০হাজার টাকা রফাদফা করেন। পরের দিন অর্থাত (৩ নভেম্বর) শনিবার ম্যানেজার নিজাম টাকা না দিয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেয়।
খবর পেয়ে (৩ নভেম্বর) শনিবার বিকালে শ্রীপুর থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এসময় ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার অপরাধে ইব্রাহিমের বাড়ির ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুটির পিতা জানান, গত শুক্রবার রাতে আমার মেয়েকে নূডুস খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার রুমে নিয়ে যায় মোশারফ। পরে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসলে মোশারফ পালিয়ে যায় । রক্তাক্ত অবস্থায় তার মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তাদের বাড়ির ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন বাঁধা দেয়।পরে বাড়ির ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে আপোষ মীমাংসা জন্য স্থানীয় ইসলাম উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগিতায় চাপ প্রয়োগ করে। তার মেয়েকে চিকিৎসা দিতে দেয়নি সমাজপতিরা।
শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আব্দুল মালেক জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের শিকার শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়াার অপরাধে নিজাম উদ্দিন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষক মোশারফকে পাওয়া যায়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াা হবে।