মো: আব্দুর রহিম, স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া
জাতীয় উদ্যানের ১ টি বানরের উৎপাতে ও আক্রমণে অতিষ্ট হচ্ছে পর্যটকরা। আগত
পর্যটকের অনেকেই এই বানরের আক্রমনে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় বছর খানিক আগে লোকালয় থেকে উদ্ধার হওয়া এই বানরটি লাউয়াছড়া
জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছিলো। বর্তমানে এই বানরটি বনের ভেতরের
রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। লাউয়াছড়ায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের উপর হঠাৎ করেই লাফিয়ে
উঠে সে।
এব্যাপারে লাউয়াছড়ার খাসিয়াপুঞ্জির বাসিন্দা সাজু মারচিয়াং তার ফেইজবুকে
পোষ্টে লিখেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের এই বানরটি ভয়ংকর। অনেক পর্যটক এই
বানরের কামরের শিকার হয়ছে। এমনকি শিশুরাও বাদ যায়নি এই বানেরর হাত থেকে।
এই বানরটি বনের নয়, বছর খানিক আগে বাইরে থেকে ধরে এনে লাউয়াছড়া বনে
অবমুক্ত করা হয়। বর্তমানে এই বানরটি বনের ভেতরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। ওর
পাশদিয়ে হেটে গেলেই আক্রমন করে।
বানরটিকে বনের ভিতওে না রাখার অনেক পর্যটকদের। কারন এটি যেকোন সময় বড়
ধরণের বিপদ ডেকে আনতে পারে। এতে বানর আতংকে লাউয়াছড়াতে পর্যটকদের আনা
গুণা কমে যাচ্ছে। তাই এ বানর টি লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারের রাখা পরামর্শ
পর্যটকদের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন হক বলেন
বৃহস্পতিবার ১ নভেম্বর সকালে ঢাকা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের কয়েকজন
শিক্ষার্থী লাউয়াছড়া ঘুরতে এলে তারাও বানরটির আক্রমনের শিকার হন।
লাউয়াছড়ার রাস্তার ভিতর দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় বানরের অতর্কিত হামলায়
তাদের অনেকেই দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে আহত হন।
গত (৫ নভেম্বর) মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক শামীম আহমেদ
স্ত্রী সহ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পরিবার সহ ঘুরতে যান। বানরটি তাদের
আক্রমন করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড়ে দেয়। এতে তিনি ও তার স্ত্রী আহত
হন। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
সেইভ আওয়ার আনপ্রোটেক্টেড লাইফ’র নির্বাহী পরিচালক তানিয়া খান বলেন,আসলে
একটা বন্যপ্রাণীর সৃস্থতা সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে এভাবে জাতীয়
উদ্যানে ছেড়ে দেয়া ঠিক না।এভাবে যদি কোন প্রাণী কাউকে আক্রমন করে তাহলে
সেই প্রাণীকে দ্রুত রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া উচিত এবং সম্পুর্ন সুস্থ
না হওয়ার আগ পর্যন্ত বনে ফিরিয়ে না আনাই ভালো।
এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক (বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগ)
মো. আনিসুর রহমান আলোকে বলেন, পর্যটকদের বারবার নির্দেশনা দেই
বন্যপ্রাণীদের কাছে না যাওয়ার। তাদেরকে খাবার না দেওয়ার। বন্যপ্রাণীদের
খাবার দিলে তারা তাদের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলে। এরপরও যে বন্যপ্রাণীরা
আক্রমনাতœক হয়ে ওঠে তাদের আমরা রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান
করি। এই প্রানীটির বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।