নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
রাজধানীর নিকটবর্তী এলাকা শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়
তিতাস গ্যাস এর অবৈধ সংযোগের ছড়াছরি এর কারণে বৈধ গ্রাহকদের গ্যাসের চুলা জ্বলছে
না বলে অনেকেরই অভিযোগ।
উক্ত বিষযে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা
প্রকৌশলী মীর মসিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ
গ্রহণকারীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে’।
মঙ্গলবার সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এখনও বেশিরভাগ এলাকায় অবৈধ
সংযোগ আছে। অনেকেই বলেন, দালালের মাধ্যমে পুরো এলাকায় এক একজনের কাছ থেকে ৫০
হাজার টাকা এবং কারো কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে এসব অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
উক্ত অবৈধভাবে সংযোগ ব্যবহার করার অপরাধে আশুলিয়া থানায় উল্লেখ্য একটি মামলা নং ৪৭,
তারিখ ১২/০৪/২০১৮ইং। এ মামলায় আসামী করা হয়েছে ৪৭জনকে। এরকম অনেকগুলো মামলা হলেও
পুলিশ প্রশাসন একরকম নিরব ভুমিকায় থাকার কারণে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও বার
বার সংযোগ দিয়ে ওই দালাল চক্রটি এক একজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে অবৈধভাবে
সরকারী গ্যাস লাইন দিয়ে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে বলে অনেকেই
জানান। প্রশ্ন তিতাস কোম্পানীর কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে কি করে সরকারী সম্পদ এই
ভাবে হরিলুট করছে তারা? অনেকেরই অভিমত কিছু অসাধু কর্মকর্তার ভুলের কারণে সরকারের
কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। উক্ত ব্যাপারে তদন্ত করলে কেচো খুড়তে গেলে সাপের
সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে অনেকেরই অভিমত।
তিতাস গ্যাস কোম্পানীর সাভার জোন অফিসের ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদেরকে
জানান, চলতি বছরের শুরু থেকে প্রায় ১০ মাসে ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন অবৈধ সংযোগ
জব্দ করাসহ ফিটিং পাইপ রাইজার উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন যে, অবৈধ সংযোগ
ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে থানায় তিনি বাদী হয়ে বেশকয়েকটি মামলা দায়ের করেছেন। এসব
অবৈধ সংযোগ বিছিন্ন অভিযান অব্যাহত রয়েছে।