সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সময় বাড়ল আরও ৬০ দিন স্বৈরাচারের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না : তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত তালায় ফুলকুঁড়ি আসরের সূবর্ণ জয়ন্তী পালিত পাঁচবিবিতে কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেটে বাড়ছে বীজ আলুর দাম নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা

৯২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চায় ঐক্যফ্রন্ট, ইসিতে তালিকা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
  • ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের ৯২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে তাদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই দাবি জানায় তারা।

এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে দেয় একটি প্রতিনিধিদল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন। সে সময় সচিবের কাছে বিএনপি অনেকগুলো তালিকা ও আরো ১০টি চিঠিও দেয়। চিঠিগুলোতে সই করেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নির্বাচনে এদের সব ধরনের কাজ থেকে বিরত রাখাও দাবি জানান দলটি। এই তালিকায় কোনো লেভেলের কতজন আছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এরমধ্যে পুলিশ সুপার আছেন, বিশেষ শাখার পুলিশ কর্মকর্তারা আছেন, ডিআইজি সাহেবরা আছেন, এডিশনাল আইজি কর্মকর্তারা আছে এবং এআইজি সাহেবরাও আছেন।

আলাল বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে সরকারের এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উনাদের কাছে কিছু দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। প্রমাণাদিসহ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার কিংবা নির্বাচনী কোনো কর্মকর্তা যে কাজগুলো করতে পারেন না, সেই কাজগুলো অনবরত করা হচ্ছে। তার কয়েকটি উদাহরণ আমরা উনাদের সামনে তুলে ধরেছি এবং এগুলোর প্রতিকার চেয়েছি।

‘ভবিষ্যতে যাতে এসব না ঘটে আর যারা এসব করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির যে প্রতিবন্ধকতা যেগুলো বড় আকারে আমাদের চোখে পড়ছে সেগুলো তুলে ধরেছি।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতির ছেলে একজন এমপি প্রার্থী। তিনি বঙ্গভবনে তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে বসে নির্বাচনী কাজ করছেন। তাদের আদর আপ্যায়ন করা হয়েছে। যেটি প্রভাব বিস্তারের অন্যতম উদাহরণ। তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগের রিটার্নিং কর্মকর্তা এদের সঙ্গে সব রির্টানিং কর্মকর্তারা পুলিশ সুপারদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ১৬ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে।’

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আরো বলেন, পরবর্তী সময়ে ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের বিভাগীয় কমিশনার ও রির্টানিং কর্মকর্তা তাঁর এলাকার অন্য রিটার্নি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি নির্বাচন আচরণবিধির ৭৩ এর ২ বি, ৭৭ এর ১/ই এবং আরপিও এর লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, এনটিএমসি ও বিটিআরসির দলকানা কর্মকর্তারা গুলশানে তারেক রহমানের কথোপথন বন্ধ করে রেখেছেন। এখনো সেখানে ইন্টারনেন্ট বন্ধ। এটিও নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।

গ্রেপ্তার এখনো ব্যাপকহারে চলছে উল্লেখ করে বিএনপির প্রতিনিধিদলের এই নেতা বলেন, গতকাল রাতেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাড়াও মনোনয়ন বোর্ডে রয়েছেন এমন নেতা রয়েছেন। এ ছাড়া পোস্টার বিলবোর্ড সরানোর যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে এখনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ঢাকা শহরে এখনো অসংখ্য নৌকা প্রতীকের বিলবোর্ড পোস্টার রয়েছে। এমনকি সিটি করপোরেশনসহ এই সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের নামে নৌকা প্রতীকের প্রচার করছেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ শাখার রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ বার বার তাদের সঙ্গে যোগযোগ করে জানতে চাচ্ছে কে কোন দল করেন। এই তৎপরতা এখনো গণহারে চলছে বলেও অভিযোগ করেন আলাল। তিনি বলেন, খুলনার হরিণঘাটায় কিছু দালিলিক তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। সেখানে নির্বাচন কর্মকর্তারদের নামের তালিকার নামের পাশে লেখা হয়েছে কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি আর জামায়াত করে। তারা যে চিঠি আদান-প্রদান করেছেন তার কপি আমাদের কাছে আছে। মূল কথা হচ্ছে, মাঠটি প্রচণ্ড রকমের অসমতল। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বাধ্য করার মতো সব উপাদান রয়েছে, কেন জানি তড়িঘড়ি করে করা হচ্ছে। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবারও দাবি জানাই মাঠ সমতল করার ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার বন্ধ করার। দলকানা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার। অতিউৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। পুলিশকে নিরপেক্ষ আচরণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন যাতে নির্দেশনা দেয়।

আজ সকালে ইসি একটি বিশেষ বৈঠক করেছে, যেখানে সিইসি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হয়রানি না করা হয়। এই নির্দেশনায় আপনারা আস্থা রাখতে পারছেন কি না- এই প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমরা দেখছি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এটি তো অনুরোধ বা অনুনয়। কিন্তু উনার তো নির্দেশ দেওয়ার কথা। উনি নির্দেশনা দিবেন। সেই ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন আমরা চাই।’

 

s/ntv

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451