অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি নিরপেক্ষ থাকতে। নিরপেক্ষতা তার পূর্বশর্ত। এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) নিরপেক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন না। আমরা প্রত্যেকদিন উনাকে (সিইসি) স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। যদি তিনি তা না শুনেন তাহলে আদালত আছে।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন গণফোরামে যোগ দেওয়া অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া।
নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ বিরোধীদের ওপর এখনো ধরপাকড় অব্যাহত আছে দাবি করে ড. কামাল হোসেন সিইসির কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘আপনি কি এসব কারো দ্বারা আদিষ্ট হয়ে করছেন, নাকি স্বেচ্ছায়?’
ড. কামাল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিকভাবে বলছি, আপনি শপথবদ্ধ। আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন। আপনি কি আদিষ্ট হয়ে নাকি নিজে বুঝেশুনে এসব করছেন? যদি তা করে থাকেন তাহলে শুধু অপরাধ নয়, সংবিধানবিরোধী। আপনি যদি তা করেন তাহলে সংবিধান লঙ্ঘনকারী হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হবেন। আপনি নিশ্চয়ই তা চান না?’
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরও নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে । এতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। এখনো কোনো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি।’
ড. কামাল বলেন, ‘আমরা সিইসির সাথে কথা বলে সন্তষ্ট হতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘সিইসিকে বলেছি নিরপেক্ষ থাকতে। আর যদি আপনারা সরকারি নির্দেশে কাজ করতে থাকেন তাহলে আমাদের পদক্ষেপ আমরা নেব।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গণভবন, মন্ত্রীর বাসভবন, সরকারি অফিস সবকিছু এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আচরণবিধির ১৪/১, ১৪/২ লঙ্ঘন। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। প্রশাসনের ওপর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং জামিন যেন না পায় তার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি দল নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখছে। আর বিরোধীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’