অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল হয়। কাজ করতে গিয়ে আমার বা আমার সহকর্মীদেরও ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। আমি নিজের ও দলের পক্ষ থেকে আমাদের যদি কোনো ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে, সেগুলো ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য দেশবাসী আপনাদের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আজ মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণার সময় এসব কথা বলেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ইশতেহার ঘোষণা করেন।
নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আরো সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করব। তাই দেশবাসীর কাছে আমার আকুল আবেদন, আগামী ৩০ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করুন। আপনারা নৌকায় ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করে দেব।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ভিশন-২০৪১-এর পর এবার ইশতেহারে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে শতবর্ষের ব-দ্বীপ প্ল্যান-২১০০।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারের সারসংক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে শেখ হাসিনা জানান, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা ২০১৮-এর নির্বাচনী ইশতেহারেও রক্ষিত হয়েছে।
ইশতেহারের বিশেষ অঙ্গীকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এক বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু করা হবে। যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। আমরা আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের পরিকল্পনা করেছি, গণমাধ্যমবান্ধব আইন করা হবে, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কোনো আইনের অপপ্রয়োগ করা হবে না।’
এ সময় শেখ হাসিনা জানান, তাঁর নিজের ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। দেশের মানুষ যাতে উন্নত সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হতে পারে, তা বাস্তবায়নই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
এই ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।