গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইয়াসমিন আক্তারের কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলার
দৃশ্যপট।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২০ জুলাই ইয়াসমিন আক্তার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে গুরুদাসপুরে যোগদানের পর
থেকেই উপজলার সকল সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে। আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে নজর, দুস্থ্য ও
প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্টনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও হত দরিদ্রদের
প্রতি সুদৃষ্টি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে বাল্য বিবাহ অনেকাংশে কমে গেছে। ইউএনও
উপস্থিত বেশকিছু ঝুকিপূর্ণ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন এবং অধিকাংশ মাদক সেবী ও
বিক্রেতাদের নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
ইউএনও মোছা. ইয়াসমিন আক্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, সুধি সমাজ ও
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষরা জানান- যোগ্য, সৎ,সাহসী, নির্বাহী অফিসার দীর্ঘদিন তাঁর কর্মস্থলে
থাকলে গুরুদাসপুরের সার্বিক দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে। উপজেলা পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যদি সৎ থাকে
তবে মানুষ ও সমাজ থেকে দূর্নীতিমুক্ত সহ উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকান্ড ত্বরান্বিত হবে। সুধি সমাজ আরো
জানান- ইউএনও সাহেব মোটামোটি ভালোভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। তবে কাবিখা টেন্ডার ও কর্মসৃজন প্রকল্পে
একটু বেশি নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা জানান- ইউএনও মহোদয়ের কারণে অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি অনেকাংশে
কমে গেছে। ইতিমধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলায় তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে
উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জরিমানা আদায় করেছেন। পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করণের ক্ষেত্রে সারাদেশের মধ্যে
গুরুদাসপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সর্বাধিক টাকা জরিমানা করায় গত ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক
শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।
ইউএনও অফিস পরিদর্শনে দেখা যায়- সর্বশ্রেণীর মানুষ তাদের সমস্যার কথা সরাসরি ইউএনও’র কাছে গিয়ে বলতে
দেখা গেছে এবং ওইসব মানুষদের কাছ থেকে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের কথাও শোনা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন- উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকান্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য জনপ্রতিনিধি,
রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।#