অনলাইন ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ‘এর পর আপনি’ টুইটারে কিউই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এমন একটি মন্তব্য করা হয়। সঙ্গে অস্ত্রের ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়। টুইটারের ওই পোস্ট প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডাকে পাঠানোও হয়।
দেশটির গণমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড আজ শুক্রবার এ তথ্য দেয়। ৪৮ ঘণ্টা ওই টুইট বার্তাটি ছিল, তবে পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ‘রিপোর্ট’ করার কারণে ওই অ্যাকাউন্টটি বাতিলও করা হয়েছে।
টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সহিংস হুমকি-সংক্রান্ত বিষয়গুলো টুইটারে নিষিদ্ধ।
ওই অ্যাকাউন্টটি ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্যতে ভরা ছিল। একই সঙ্গে ছিল শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কথাবার্তা।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ বিষয়টি অবগত এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।
টুইটারের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ওই টুইট নিয়ে প্রথম রিপোর্ট পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমাদের টিম ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা নিয়ে সহিংস ও অবৈধ মন্তব্য সরিয়ে দিই।’ বিষয়টি তদন্তে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে টুইটার সাহায্য করছে বলেও জানানো হয়।
গত ১৫ মার্চ আজ থেকে ঠিক এক সপ্তাহ আগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালায় এক দুর্বৃত্ত। ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য জড়ো হচ্ছিলেন মুসলমানরা। টেস্ট খেলার জন্য ওই শহরেই ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ওই মসজিদেই নামাজ আদায়ের জন্য রওনা হন তামিম-মুশফিকরা। তবে পথে এক নারী তাঁদের সাবধান করে দেন। পরে দ্রুত হোটেলে ফিরে যান তাঁরা।
ওই হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা ব্যাপক সমালোচিত হয়। তবে ওই ঘটনার পর থেকেই নিউজিল্যান্ডের মুসলমানদের পাশে দাঁড়ান কিউই প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। পরদিনই শোকসন্তপ্ত স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
গত ১৯ মার্চ দেশটির পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন জেসিন্ডা। তিনি ওই বক্তব্য শুরু করেন ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে।