অনলাইন ডেক্সঃ
বিএনপির নেতা রবিউল আউয়ালকে গুলশান ২-এর নিজ বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিউল আউয়াল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি।
আজ সোমবার দুপুরে এক বিবৃতিতে ওই অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। দলের সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো হয়।
রিজভী দাবি করেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি রবিউল আউয়ালকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গুলশান ২-এর নিজ বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস দিচ্ছে না। এটি ভয়াবহ অমানবিক ও দস্যুবৃত্তিমূলক কাজ। রাষ্ট্রের মদদে এখনো বিরোধীদল নিধনে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপির ঢাকা মহানগরী নেতা রবিউল আউয়াল মাত্র ১৫ দিন আগে সব মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। আবার তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিপজ্জনক কোনো কিছু ঘটার ইঙ্গিতবাহী। বিরাজমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, অশান্তি ও গভীর শঙ্কার মধ্যে দিনযাপন করছে। রবিউল আউয়াল নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তার পরিবার ও বিএনপি নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি অবিলম্বে তাঁকে প্রকাশ্যে উপস্থিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ তাকে সরকারের এজেন্সিগুলোই তুলে নিয়ে গেছে। সুতরাং তাদেরকেই রবিউল আউয়ালকে ফেরত দিতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘মিডনাইট নির্বাচনের পরও সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভয় পাচ্ছে। অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকছে। তাই গুম, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো নিষ্ঠুর কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিরোধী দলশূন্য না করলে নব্য বাকশালী ব্যবস্থা কায়েম করা যাবে না। তাই বিরোধী দল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অদৃশ্য করা হচ্ছে।’
সুত্র, এনটিভি অনলাইন