অনলাইন ডেস্কঃ
যারা আত্মসমর্পণ করেননি তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ। আজ যারা আত্মসমর্পণ করলেন তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হবে। আর যারা আত্মসমর্পণ করেননি তারা কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার চরমপন্থা অনুসরণকারীদের ভালো পথে ফেরার সুযোগ দিয়েছে। যারা আত্মসমর্পণ করলেন, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা দিয়েছেন। যারা এখনো অন্ধকার জগতে রয়েছে, তারা যদি ফিরে না আসে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, পথচ্যুত মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
আইজিপি বলেন, উগ্রপন্থা ও চরমপন্থা দমনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল। আজ যেসব চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে, যাতে তারা মূল স্রোতধারায় ফিরে আসতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা-১ আসনের সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ আসনের সাংসদ মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনের সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, পাবনা-৫ আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্স, রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ প্রকৌশলী এনামুল হক, সংরক্ষিত নারী আসনের (পাবনা-সিরাজগঞ্জ) সাংসদ নাদিরা ইসলাম জলি, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম খুরশীদ হোসেন, পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম।
এর আগে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আর্থিক প্রণোদনা বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে পাবনাসহ ১৪টি জেলার ৫৯৫ জন চরমপন্থী সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে ৫৭৫টি দেশি অস্ত্র ও ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেন চরমপন্থীরা।