অনলাইন ডেক্সঃ
ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় ভোট দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ২০৯ নম্বর বুথে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটকেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পায়ে হাঁটার দূরত্ব। আজ সারা দিন অন্য কোনো কর্মসূচি রাখেননি তৃণমূল নেত্রী। বিকেলে মিত্র ইনস্টিটিউশনে যান ভোট দিতে।
ভোট দিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বাহিনী বেনজির অত্যাচার করেছে। আগে কখনো এমনটা আমি দেখিনি।’ এর পরই বেরিয়ে যান তিনি। বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ভোট দিতে আসছেন, খবর পেয়েই তাঁকে একঝলক দেখার জন্য মিত্র ইনস্টিটিউশন এলাকায় ভিড় জমে যায়।
অন্যদিকে, ইচ্ছে থাকলেও এদিন শেষপর্যন্ত ভোট দিতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে ভোট দিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও মেয়ে। বালিগঞ্জ কমলা গার্লস হাইস্কুলে ভোট দেন বুদ্ধদেবের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও মেয়ে। জানা যায়, শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণেই আর বাইরে বেরিয়ে ভোট দিতে যাওয়া সম্ভব হয়নি না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। শেষবার তাঁকে বাইরে দেখা গিয়েছিল ব্রিগেডের সময়। দীর্ঘদিন পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডে যোগ দেন তিনি। তবে সেবারও গাড়ি থেকে নামতে পারেননি। গাড়িতেই ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার। নাকে অক্সিজেনের নল গোঁজা অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ গাড়িতে বসেই ব্রিগেড বক্তৃতা শোনেন তিনি। তারপর ফিরে যান।
তবে লোকসভাব নির্বাচনে বুদ্ধদেব ভীষণভাবে চেয়েছিলেন ভোটটা দিতে। ঘনিষ্ঠ মহলে ব্যক্ত করেছিলেন সে ইচ্ছের কথা। বলেছিলেন, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নিজের ভোটটা দিতে চান তিনি। কিন্তু, শারীরিক কারণে শেষপর্যন্ত আর সেটা সম্ভব হলো না। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য বাইরে বের হলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে। এই অবস্থায় শারীরিক অসুবিধার কারণে, এবার আর কোনোভাবেই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া সম্ভব হয়নি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পক্ষে। তবে, দলীয় মুখপত্রে তৃণমূলকে ‘ফুটন্ত তেলের কড়াই’ আর বিজেপিকে ‘জ্বলন্ত উনুন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।