নগর ভবন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। নগর ভবনে নেওয়া হয়েছে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ। সাবেক মেয়রকে শেষবারের মতো দেখার জন্য নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভিড় ছিল। সঙ্গে ছিলেন সর্বস্তরের মানুষ।
নগর ভবনে অনুষ্ঠিত হয় সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার জানাজা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন সাবেক মেয়র খোকার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে তাঁর জন্য হৃদয় থেকে দোয়া করছি।’
জাতীয় সংসদ ভবন ও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জানাজার পর সাদেক হোসেন খোকার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল নগর ভবনেও জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক মেয়রের জানাজায় অংশ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘তাঁর এই মৃত্যুতে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীর সেবা করে গেছেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় দেশের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তিনি ঢাকাসহ গোটা দেশের মানুষের জন্য তাঁর জীবন যৌবনের বড় অংশ উৎসর্গ করেছেন।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা মানুষ, আল্লাহ দোষত্রুটি সংমিশ্রণে আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তাঁর (সাদেক হোসেন খোকা) কোনো কথা ও কাজে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘তাঁর জন্য সবাই মিলে হৃদয় থেকে দোয়া করছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর যাবতীয় ভুলত্রুটি মাফ করে দিয়ে তাঁকে জান্নাত নসিব করুন। তাঁর আদর্শ ছিল মানুষের কল্যাণে দল-মত নির্বিশেষে কাজ করা। তাঁর স্বজনদের এই শোক সইবার শক্তি দান করুক।’
সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। গত ২৮ অক্টোবর শারীরিক অবস্থার অবনতির পরই তাঁকে নিউইয়র্কে ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সাবেক মন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকা ২০১৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা।