চট্টগ্রামে স্কুলছাত্র জাকির হোসেন সানি খুনের মামলার আসামি দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁরা হলেন আনিসুর রহমান ও মো. মামুন। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে চিটগং এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
দুই আসামি নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নগর গোয়েন্দা পুলিশ আদালত ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত তিন দিন করে মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ আগস্ট দুপুরে নগরের খুলশী থানার ওমরগণি এমইএস কলেজ গেটের বিপরীতে জাকিরকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। সাদা শার্ট পরিহিত স্কুল-কলেজপড়ুয়া কিছু ছেলে তাকে ধাওয়া করে ছুরিকাঘাত করার এ দৃশ্য ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধরা পড়ে। নিহত জাকির পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিনের শ্যালক। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নগরের খুলশীতে বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিল সে।
ঢাকার মিরপুরে একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত জাকির। ঢাকায় যাওয়ার দুই বছর আগে চট্টগ্রামে বোনের বাসায় থাকত। ওই সময় নগরের সারমন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত সে। এই ঘটনায় জাকিরের বড় বোন মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে খুলশী থানায় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে এমইস কলেজ সংসদের সাবেক জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরসহ ৫১ জনের নাম এজাহারে সংযুক্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন বাদী। আদালত থানা–পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তবে ছাত্রলীগের নেতারা জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
এই মামলায় বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার অবস্থায় আছেন। আবার অনেকে জামিনে আছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আজিজ আহমেদ জানান আদালতের আদেশটি পাওয়ার পর দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে নিয়ে আসবেন।