আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল ব্যাটারি কারখানার একাংশ। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়লেন এক শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সাত সকালে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল নয়াদিল্লির পীরাগড়হি এলাকায়। চাপা পড়া দুই দমকলকর্মী ও এক শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, এ দিন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ওই ব্যাটারির কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে একাধিক ইঞ্জিন-সহ ঘটনাস্থলে যান দমকলকর্মীরা। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় একে একে ঘটনাস্থলে যায় ৩৫টি ইঞ্জিন। কিন্তু সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই বিপত্তি। তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। ভেঙে পড়ে কারখানার সামনের অংশ। তার নীচে দমকলকর্মী ও কারখানার শ্রমিকদের কয়েকজন চাপা পড়েন। আগুন নেভানোর পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়।
বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর উদ্ধার করা হয় দুই দমকলকর্মী ও কারখানার এক শ্রমিককে। তবে তাঁদের চোট গুরুতর নয়। দমকলকর্মীদের অনুমান, কারখানার মধ্যে থাকা একাধিক ব্যাটারি প্রচণ্ড গরম হয়ে যাওয়ায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার পরেই বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে।
আগুন নেভাতে গিয়ে প্রথম দিকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় দমকল কর্মীদের। কারণ, কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক মজুত ছিল। ফলে তীব্র ঝাঁঝালো ধোঁয়ায় কারখানার কাছে যেতে পারছিলেন না তাঁরা। পরে অবশ্য মুখোশ ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন তাঁরা। সমান্তরাল ভাবে কারখানার ভিতরে মজুত দাহ্য বস্তুও সরানোর কাজ চলে। আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলে জানানো হয়েছে দমকলের তরফে।
অন্য দিকে ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি জানান, পরিস্থিতির দিকে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছেন তিনি। দমকলকর্মীরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।