রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর সদরের গোদাগাড়ী-নাচোল রাস্তার হেলিপ্যাড এলাকায় রাস্তার দু’ধারে গড়ে উঠা টমেটোর অস্থায়ী আড়ত গুলোয় প্রকাশ্যো দিবালোকে অপরিপক্ক কাঁচা টমেটো পাঁকাতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিশেষ ধরণের বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রঙ স্পে করা হচ্ছে, বিষয়টি দেখার যেনো কেউ নাই।
অনু সন্ধানে জানা যায়, আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তার নেপথ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয় তার দেয়া এমন সার্টিফিকেট প্রদান করেন। আর সেটা ব্যবহার করে অসাধূ ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কেমিক্যাল স্পে করে কাঁচা টমেটো পাঁকাতে এসব অপকর্ম করেই চলেছে। জমি থেকে অপরিপক্ক কাঁচা টমেটো তুলে এসব অস্থায়ী আড়তে নিয়ে জমা করা হয়। তারপর টমেটো গুলো দৃষ্টিনন্দন এবং পাঁকাতে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রঙ স্পে করে পাঁকানোর পর এসব টমেটো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
গোদাগাড়ী পৌর সদরের হেলিপ্যাড এলাকা থেকে এসব কেমিক্যাল মিশ্রিত টমেটো প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ ট্রাক করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা এসে টমেটোর এসব অবৈধ অস্থায়ী আড়ত গড়ে তুলে স্থানীয় হোমড়া-চোমড়াদের সহায়তায় এসব অপকর্ম করে চলেছে দেদরসে। বর্তমানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর সদরে কমপক্ষে ২০টি অস্থায়ী টমেটোর আড়ত রয়েছে। প্রতিদিন এসব আড়তে শত শত মণ অপরিপক্ক কাঁচা টমেটো কেমিক্যাল ও রঙ মিশিয়ে পাকানো হচ্ছে। তবে অজ্ঞাত কারণে উপজেলা প্রশাসন বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিষয়টি দেখেও না দেখার অভিনয়ে এড়িয়ে চলেছে বলে স্থানীয়দের মতামত।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সচেতন মহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি এইসব অস্থায়ী টমেটো আড়তে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার জোর দাবী জানান এবং জড়িত দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন।
এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তৌহিদুল ইসলাম নামে একজন নিজেকে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, ল্যাবে টেস্ট করে জানা গেছে এসব কেমিক্যাল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশেই টমেটো পাকাতে এসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে।