বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

দিল্লিতেও মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ মোদি-শাহ জুটি

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২৮৮ বার পড়া হয়েছে

হঠাৎ করেই যেন থমকে গেছে বিজেপির জয়রথ। একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে। গত দেড় বছরে ‘বিজেপিমুক্ত’ হয়েছে পাঁচটি রাজ্য। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো একটি রাজ্য। দিল্লিতেও মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ মোদি-শাহ জুটি। প্রথমদিকে লড়াইয়ে থাকলেও বেলা যতো গড়িয়েছে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। শেষপর্যন্ত তাদের হাতে দিল্লির মাত্র সাতটি আসন। অথচ রাজধানীর সাতটি লোকসভা আসনই জিতেছিল তারা। তাহলে কেন এমন পরিস্থিতি? কেনই বা একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে?

ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সবকটি সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষাতে যা বলা হয়েছিল, সেই ফলই হলো দিল্লির বিধানসভা ভোটে। বিজেপিকে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়ে দিল্লি দখল করতে চলেছে আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে হ্যাটট্রিকের পথে অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

সকাল থেকেই ট্রেন্ড বোঝা যাচ্ছিল। শুরুর দিকে বিজেপি প্রায় ২০টি আসনে এগিয়ে ছিল। কিন্তু সেই ব্যবধান কোথাও ৫৫, কোথাও বা ১০৫ ভোট। বেলা বাড়তেই সেই সুতোর ব্যবধান মুছে যায়। সেই আসনগুলোও জিতে নেয় আপ। বেলা সোয়া তিনটে পর্যন্ত কোনো আসনেই জয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি কমিশন। তবে ব্যবধানে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দিল্লি ফের আপের।

গত দেড় বছরে বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা। দিল্লিতেও ২৭০ জন সাংসদ, ৭০ জন মন্ত্রী প্রচারের কোনো কাজে এল না। শতাংশের নিরিখে ভোট ও আসন বাড়লে সন্তোষজনক ফল করতে পারেনি বিজেপি।

স্বভাবতই হারের কারণ নিয়ে ওঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামীর কথায়, ২০১৪ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত দলের কাঠামো খতিয়ে দেখা উচিত। তার অভিযোগ, বহু রাজ্যে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি বিজেপি, তার ফল হাতেনাতে পেয়েছে নেতৃত্ব। একই কথা বলছেন দিল্লির বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র। তার কথায়, ‘কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে। খতিয়ে দেখা দরকার।’ দিল্লির সাংসদ গৌতম গম্ভীর তো স্বীকার করেই নিলেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লির মানুষকে আমরা বোঝাতে পারিনি’। তবে দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য সুর।

ভারতের লোকসভা হোক কিংবা বিধানসভা, এমনকি পৌরসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে বিজেপির ভরসা মোদি-শাহ জুটি। সর্বত্রই তাদের নাম জপে কাজ বের করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রচার করতে ছুটে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ প্রচারে সেভাবে দেখাই মিলছে না রাজ্য নেতৃত্বের। ফলে রাজ্যে কোনো নেতাই তৈরি হচ্ছে না। আবার পুরনো নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জড়ো হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী করার সময় সেসব দিকে কান দিচ্ছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে সাধারণ মানুষের সমর্থন হারাচ্ছেন তারা।

দেশটির রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দিল্লির নির্বাচনের প্রচারেও বারবার পাকিস্তান বিরোধিতা কিংবা ধর্মীয় ভেদাভেদের কথা তুলে এনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে একটি শব্দও খোঁজ করছেন না তারা। ফলে স্বভাবতই জাতীয়স্তরের নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে পারলেও, বিধানসভায় বারবার ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি শিবির।

সামনেই বিহার-পশ্চিমবঙ্গ-আসামের নির্বাচন। তাই এ রাজ্যগুলোতে জিততে বিজেপিকে এখনই রাজ্যে নেতা গড়ার দিকে মন দিতে হবে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451