শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা সদরের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের মরমপুর-সুরিরখাল এলাকার মধ্যবর্তী জায়গায় সড়কের পাশের গাছ কেটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল অস্ত্রধারী ডাকাত দল। পুলিশের নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে থানার এসআই মিজানুর রহমান তার সঙ্গীয় কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাসকে নিয়ে এলাকা টহল দিচ্ছিলেন। পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশ সদস্যররা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে থানার ওসি শামীম মুসা, পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী, এসআই নূর হোসেন, দেবাশীষ শর্মা ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি বাড়ছে টের পেয়ে ডাকাত দল দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এরপর স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করলে স্তূপ করা মাটির ওপর এক ডাকাত সদস্যের মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় ওই ডাকাত সদস্যের হাতে একটি দেশীয় পাইপগান ও কোমরে থাকা তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি- নিহত ওই ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি নিহত ডাকাত সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জের কদুপুর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একাধিক মামলার আসামি আলী হোসেন নিহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত আলী হোসেন একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে র্যাব। এ সময় একজন র্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একাধিক মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালালে সে তার দলবল নিয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে আলী হোসেন নিহত হন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।