মুজিব বর্ষ উদযাপন নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, মুজিব বর্ষ উদযাপন করতে হবে বিনয়ের সঙ্গে। এখানে কোনো বাড়াবাড়ি কেউ করতে পারবেন না। মুজিব বর্ষ উদযাপনের নামে কেউ চাঁদাবাজির দোকান খুলতে না পারে, সেটা সবার খেয়াল রাখতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দলের যৌথসভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মুজিব বর্ষ সামনে রেখে সারা বিশ্বে ও বাংলাদেশের বর্ণাঢ্য আয়োজন বিএনপি ও তার দোসরদের সহ্য হচ্ছে না। কিছু সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। এই শক্তি যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পরে, আমাদের প্রস্তুত, তৈরি ও সতর্ক থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের মাঝে ঐক্যবদ্ধ আয়োজনের আবহ বিরাজ করছে। এখন তারা নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতার নামে মুজিব বর্ষের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। আসলে নরেন্দ্র মোদির আগমন নয়, মুজিব বর্ষ হচ্ছে তাদের টার্গেট। তাই মির্জা ফখরুল সাহেব ও তাঁদের দোসররা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুজিব বর্ষ উদযাপনের শুভক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। যাতে আমাদের এই আয়োজনকে নস্যাৎ করতে না পারে, সে জন্য এই চক্রান্ত ও অপতৎপরতাকে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে হবে।’ এ জন্য দলীয় নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সঙ্গে ভারতীয় সৈন্যদের রক্ত মিশে গিয়েছিল। কাজেই যখনই আমরা মুজিব বর্ষ উদযাপন করব, তখন তা ভারতকে বাদ দিয়ে উদযাপন অর্থপূর্ণ হতে পারে না। নরেন্দ্র মোদি আমাদের একাত্তরের প্রধান মিত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতীয় জনগণের প্রতিনিধি হয়েই আসছেন। এ ছাড়া ভারত ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আসবেন। কাজেই একটি মহল ও বিএনপি বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য উসকানি দিচ্ছে।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ।