অস্ত্র ও মাদক আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীম। গত ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি কোর্ট থেকে তিনি জামিন পান। জি কে শামীমের আইনজীবী শওকত ওসমান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
আইনজীবী শওকত ওসমান বলেন, সম্প্রতি অস্ত্র ও মাদক মামলায় তাঁর মক্কেল জি কে শামীম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। এই দুই মামলায় জামিননামা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। দুটি মামলায় জামিন পেলেও জি কে শামীমের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা আছে। এই দুটি মামলায় এখনো জামিন পাননি তিনি। এ কারণে জি কে শামীম এখনই মুক্ত হচ্ছেন না।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়। আদালত সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে র্যাব। অস্ত্র মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। মাদক মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।
অস্ত্র মামলায় গত বছরের ২ জানুয়ারি জি কে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। আর গত বছরের ২৭ অক্টোবর জি কে শামীমসহ তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাব।
অস্ত্র মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাঁর সহযোগীরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তাঁরা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানিলন্ডারিং করে আসছিলেন।
গত বছরের ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।