করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক নেপালি ছাত্রকে (১৯) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আজ সোমবার ঘণ্টা তিনেক পর্যবেক্ষণে রাখার পর তিনি আক্রান্ত নন বলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিনভর গুজব চলে।
তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের বরাত দিয়ে বলছে, ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। নেপালি ওই শিক্ষার্থীকে সর্দি-কাশিজনিত উপসর্গের জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিষয়টি যেহেতু এখন অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর বিষয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্য বা এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সব মহলের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি শিক্ষার্থীকে সর্দি-কাশিজনিত উপসর্গের জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কয়েকটি অনলাইনে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ওই শিক্ষার্থী নেপাল থেকে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পর আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। তাঁকে আজ সকাল ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিদেশি শিক্ষার্থী বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে পর্যবেক্ষণ করে তিন ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন। একই সঙ্গে তাঁকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন। এর পরপরই ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিদেশি শিক্ষার্থীর জ্বর ও কাশি থাকার কারণে সতর্কতা হিসেবে করোনা ইউনিটে নেওয়া হয়। এরপর এ বিষয়ে ঢাকার আইইডিসিআরকে বিস্তারিত জানিয়ে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে বলা হয়েছে, নেপালে এখনো কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। সুতরাং ওই শিক্ষার্থীর জ্বর-কাশি করোনার কারণে নয়। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁকে নিজ কক্ষে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।